তিনি আরও বলেন, 'স্কুল থেকে ফেরার সময় মেয়েটির বাবা বলেছিল তুমি আসতে আসতে সাইড দিয়ে হেঁটে চলে এসো। সেই একা হওয়ার সুযোগ তুলেছিল অভিযুক্ত। সেই সময় সাইকেলে চাপতে বলে মেয়েটিকে। সেখানে অভিযুক্ত বলে আমি তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দেব। সাইকেলে তোলার মুহূর্তে দুজন সাক্ষী ছিলেন। তাঁরা দেখেন বাচ্চাটিকে সাইকেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল'।
সাইকেলে তোলার সময় বাঁধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে তখন বলেছিল মেয়েটির বাবা তাকে নাকি জানিয়েছিল বাচ্চাটিকে বাড়ি নিয়ে যেতে হবে। সেই মতন সাইকেলে চাপিয়ে নিয়ে গিয়ে নৃশংস অত্যাচার করে শিশুটির উপর। শুধু ধর্ষণ নয় মেরে ফেলে বাচ্চাটিকে। পাশাপাশি শিশুটির শরীরে মোট ৩৮টি ক্ষত ছিল। কাজ শেষে ভারি কিছুর সাহায্যে মাথা থেতলে মেরে ফেলা হয়।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিস এক্স হ্যান্ডেলে লেখে, 'জাস্টিস ফর জয়নগর! নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের মামলায় ৬২ দিনের মধ্যে অভিযুক্তের ফাঁসির আদেশ। এই রায় নজিরবিহীন। নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের মামলায় ঘটনার মাত্র ৬২ দিনের মধ্যে অভিযুক্তের ফাঁসির আদেশ এর আগে পশ্চিমবঙ্গে কখনও ঘটেনি। এই মামলার তদন্তে আমাদের একটাই উদ্দেশ্য ছিল, যত দ্রুত সম্ভব নির্যাতিতা এবং তার পরিবারকে ন্যায়বিচার দেওয়া। মেয়েটি আর ফিরবে না, কিন্ত অভূতপূর্ব দ্রুততায় যে তাকে এবং তার পরিবারকে আমরা 'জাস্টিস' দিতে পেরেছি, দীর্ঘদিন বিচারহীন থাকতে হয়নি, এটুকুই আমাদের সান্ত্বনা, আমাদের প্রাপ্তি।'