• বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রতিবাদ করে গ্রেপ্তার, পরে দল থেকেই বহিষ্কার বজরং নেতা, জল্পনা
    এই সময় | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • বাংলাদেশ ইস্যুতে রাজ্যে ফের সক্রিয় বজরং দল। কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে তাদের বিক্ষোভে সামিল হতেও দেখা গিয়েছে। ভারতের পতাকার উপর দিয়ে সে দেশের ছাত্রছাত্রীদের হেঁটে যাওয়ার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই বজরং দলের সদস্যদের প্রতিবাদ করতে দেখা যায় বারাসতে। তবে ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, গত মঙ্গলবার বারাসত স্টেশনে বাংলাদেশের পতাকা এঁকে তার উপর দাঁড়িয়ে কয়েক জন প্রতিবাদ করছিলেন।ঘটনায় তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পরেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে বারাসতের এক সাংগঠনিক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।দলীয় সূত্রে খবর, সে দিনের ঘটনায় ওই নেতার প্রতক্ষ যোগ মিলেছে।তবে, দলীর নেতারা জানাচ্ছেন, ওই ঘটনার সঙ্গে এই বহিষ্কারের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

    বারাসত থানার পুলিশ আর্য দাস, সুবীর দাস ও রিপন চট্টোপাধ্যায় নামে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। এই কার্যক্রমের অন্যতম উদ্যোক্তা বাপন বিশ্বাস বলেন, ‘ওঁরা আমাদের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করছে, তার প্রতিবাদেই বারাসত স্টেশনে আমরা ওই কর্মসূচি নিয়েছিলাম। আমাদের গ্রেপ্তার করা হলেও কর্মসূচি চলবে।’

    যদিও, মঙ্গলবারের ঘটনার পর বারাসত বজরং দলের নগর-সহ সংযোজক পদ থেকে বাপন বিশ্বাসকে বহিষ্কার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। বহিষ্কারের পর বাপন বলেন, ‘আমাকে কেন বহিষ্কার করা হলো, সেটা নেতৃত্বই বলতে পারব। তবে, আমি প্রতিবাদ করে কোনও ভুল করিনি।’ উত্তর ২৪ পরগনার বজরং দলের সাংগাঠনিক সম্পাদক অশোক বাউড়ি অবশ্য বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কারণে ওঁকে বহিষ্কার করা হয়নি। আমাদের সাংগাঠনিক কারণে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ তবে, বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান তিনি।

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অত্যাচারের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ চলছে এ পার বাংলাতেও। বৃহস্পতিবারই কলকাতায় রানি রাসমণি রোডে প্রায় ৫০টি হিন্দুত্ত্ববাদী সংগঠনের তরফে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভাতেও অংশগ্রহণ করেছিল বজরং দল।
  • Link to this news (এই সময়)