স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম অরিত্রী ঘোষ। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী বছর চোদ্দোর ওই বালিকা। বাবার মৃত্যুর পর, চণ্ডীতলার কলাছড়া খানাবাটি এলাকায় মায়ের সঙ্গে থাকত সে। কিন্তু প্রতিবেশী বা আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক তো দূর, কাউকে নাকি বাড়িতেই ঢুকতে দিতেন ওই নাবালিকার মা। সবসময় তালা ঝুলিয়ে রাখতেন বাড়ির দরজায়।
আজ শুক্রবার সকালে অরিত্রীদের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। আর তাতেই সন্দেহ হয়। কাছেই থাকেন অরিত্রীর কাকা বিশ্বজিত্ ঘোষ। প্রথমে তাঁকে ফোন করেন পাড়ার লোকেরা। খবর দেওয়া হয় চণ্ডীতলায় থানায়। তাঁরা গিয়ে দেখেন,মৃত অবস্থায় পড়ে অরিত্রী। তার দেহ আগলে বসে মা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ভাইঝির খোঁজখবর নিতে আসতেন বিশ্বজিত্। মাঝে বেশ কয়েকবার ডাক্তার দেখানো, এমনকী বাড়িতে কাজ লোকও রাখার চেষ্টা করেছিলেন তিনি, কিন্তু লাভ হয়নি। বিশ্বজিত্ বলেন, বউদি মানসিক ভারসাম্য়হীন। নিজের খেয়ালে থাকতেন। বাড়িতে কাউকে ঢুকতেও দিতেন না'।