মাছ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ২০১৬ সালে তৈরি হওয়া এই মার্কেটে প্রায় ৯৫ জন মাছ ব্যবসায়ী স্টল পেয়েছিল। ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে এক মাসের জন্য তারা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে এই মাছ মার্কেট চালু করেছিল। কিন্তু প্রশাসনের অসহযোগিতায় তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন এই মাঝ মার্কেটের জরাজীর্ণ অবস্থা। আগাছা এবং নোংরা আবর্জনায় ভরে গেছে গোটা মার্কেট। সেই মার্কেটে চলছে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ পড়ে থাকছে মদের বোতল। তারা কেউ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে আবার কেউ সম্পত্তি বিক্রি করে কেউ ১০ লাখ কেউ ১২ লাখ আবার কেউ ১৫ লাখ টাকা দিয়ে এই মার্কেটে স্টল নিয়েছিল। ২০১৬ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত এই মার্কেট চালু হলো না অথচ এই ৮ বছর ধরে তারা ৭৫০ টাকা করে ভাড়া দিয়ে আসছে মার্কেট কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্রশাসন যখন এই মার্কেট চালু করতে পারল না তাহলে আরো একটি মার্কেট তৈরি করার উদ্দেশ্য কি ?
সরকারের টাকা বেশি হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। এই বিষয়ে মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তথা জেলা ব্যবসায়ী নেতা উজ্জ্বল সাহা জানান, ২০১৬ সালে মালদা জেলা রেগুলেটেড মার্কেটে পাইকারি মাছ বাজারের জন্য কিছু স্টল তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন মার্কের সমিতির ভুল সিদ্ধান্তের জন্য প্রকৃত যারা মাছ ব্যবসায়ী তাদেরকে না দিয়ে তারা টেন্ডারের মাধ্যমে স্টল গুলি বিলি করেছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বংশ-পরম্পরাই চলে আসা মালদা শহরের নেতাজি মার্কেটের প্রকৃত মাছ ব্যবসায়ীরা দোকান না পাওয়াই এই মার্কেট উদ্বোধন করা বা চালু করা সম্ভব হয়নি। তাই সেই সমস্ত মাছ ব্যবসায়ীদের জন্য ইংলিশ বাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান আরো একটি মাছ মার্কেট তৈরি করার আবেদন করেছিলেন রাজ্য সরকারের কাছে। সেই মতো আরো একটি মার্কেট তৈরি করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে ইংলিশ বাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান, সমস্ত কিছুর পাইকারি মার্কেট মালদা জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি চত্বরে রয়েছে। তাই নেতাজি মার্কেটের মাছ মার্কেট নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির চত্বরে নিয়ে আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলাম তার ভিত্তিতেই নতুন করে আরো একটি মার্কেট তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে এই বিষয়ে মালদা জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সচিব অসিত বর জানান, আমাদের এখানে পাইকারি মাছ বাজার চালু হবে কিন্তু আগে যে মার্কেটটা তৈরি হয়েছিল চাহিদা অনুযায়ী স্টলের সংখ্যা কম থাকায় চালু করা সম্ভব হয়নি তাই নতুন করে আরো একটি তার পাশেই মাছ মার্কেট তৈরি করা হচ্ছে। এদিকে এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। বিজেপির অভিযোগ, ২০১৬ সাল থেকে ২০২৪ সাল হয়ে গেল এখনো পর্যন্ত মাছ ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান ঘর পেল না। অথচ কতিপাই তৃণমূল নেতার উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থায় দ্বিতীয়বার যেন টাকা এবং তোলা তুলা যায় তার পরিকল্পনা এটি। আমরা মাছ ব্যবসায়ীদের নিয়ে আগামীতে এই নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবো।