সেলিম বলেন, 'গত দু'তিন মাস ধরে মিডিয়া মারফত্-ই লোককে জানান দেওয়া হচ্ছে, আর একটা নতুন বামপন্থী দল তৈরি করতে হবে, আসবে। ঘোষণাও হয়ে গিয়েছিল। দেখা গেল কিছই হল না। অনেকেই বলছিল, বিজেপির উত্থান হয়েছে। তৃণমূল একটা দক্ষিণপন্থী দল। তাদের মধ্যেই একটা সাজানো বিরোধী এবং সরকারি দল'।
সেলিমের দাবি, 'তাঁদের মধ্যে থেকেই, আমি পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, আর একটা দক্ষিণপন্থী দল তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে। নিজের নিজের দলে যাঁরা পাত্তা পাচ্ছে না, সে তৃণমূল এবং বিজেপি। সেখানে পাত্তারি গোটালে কী হবে, তার একটা বিকল্প ভেবে রাখছে। আবার যাতে পাত্তা যায়, সেজন্য ব্ল্যাকমেইল করা যায় কিনা, সে চেষ্টাও করছে'।
এর আগে, 'একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। সেই দলে ছিলেন শাসকদলের বহু নেতা, এমনকী মন্ত্রীও। সেলিম বলেন, ছাব্বিশে বিধানসভা নির্বাচন। এখন অনেকেরই দমবন্ধ হবে। গত বিধানসভা নির্বাচনে মনে আছে, তৃণমূলের এক নেতা মন্ত্রী, দমবন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিজেপি গিয়েছিল। পরে দেখা গেল বিজেপির অনেকের দমবন্ধ হয়ে গেল, তারা তৃণমূলে চলে এল। নতুন দল দানা বাঁধবে নেই, সেই সুযোগ নেই'।