শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ তিনটি শর্তে জামিন দিয়েছেন ‘কাকু’কে। বলা হয়েছে—
দেড় বছর আগে নিয়োগ মামলায় ‘কালীঘাটের কাকু’কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই থেকে তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে ছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে গ্রেফতার করতে চেয়ে বিচার ভবনে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। সিবিআই জানায়, ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা প্রয়োজন। তার জন্য তাঁকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সশরীরে হাজির না হলে হেফাজতে নেওয়া যাবে না, জানিয়ে দেয় আদালত। ‘কাকু’কে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পর পর চার বার তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন। জেল কর্তৃপক্ষ আদালতে জানিয়েছেন, ‘কাকু’ অসুস্থ। জেলের হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। ফলে তাঁকে হাজির করানো সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্টও আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে একাধিক বার।
সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হতে পারেন, আশঙ্কা করে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ‘কাকু’। পৃথক বেঞ্চে সেই মামলা এখনও চলছে। সেখানে সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেছিল আদালত। প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, দেড় বছর ধরে ‘কাকু’ জেলে রয়েছেন। এত দিন পরে কেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হল? ‘কাকু’ জামিন পেতে পারেন আশঙ্কা করেই সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে চাইছে, পর্যবেক্ষণে জানান বিচারপতিরা। হাই কোর্টে মামলাটি বিচারাধীন থাকাকালীনই তাঁকে হেফাজতে নিতে চেয়ে নিম্ন আদালতে নতুন করে আবেদন জানায় সিবিআই। বৃহস্পতিবারও সেই সংক্রান্ত শুনানিতে আদালতে হাজিরা দেননি ‘কাকু’। ফলে তাঁকে হেফাজতে নিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা।
‘কাকু’র আইনজীবী সেলিম রহমান বলেন, ‘‘উচ্চ আদালতে একটি মামলা চলাকালীন নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে না সিবিআই। ইডির মামলায় জামিন পেয়ে গিয়েছেন বলে তাঁকে নতুন করে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। হাই কোর্ট মৌখিক ভাবে জানিয়েছিল, সিবিআই কোনও পদক্ষেপ করবে না। তার পরেও তারা হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। আদালতে এই মামলা বিচারাধীন।’’