গত লোকসভা ভোটে হুগলি কেন্দ্রের অন্তর্গত চুঁচুড়ার যে সব এলাকায় শাসকদল পিছিয়ে ছিল, মূলত সেই সব এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনছেন অসিত। গত মাস থেকে এই ‘দুয়ারে বিধায়ক’ কর্মসূচি শুরু করেছেন তিনি। কর্মসূচির প্রথম দু’দিন কোদালিয়া-১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। মাঝে কয়েক দিন বিরতির পর শুক্রবার অসিত চুঁচুড়া পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পদ্মপার্ক এলাকায় যান। সেখানেও তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। সেই সময় বিধায়ককে হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে রাস্তার বেহাল দশা দেখান এক মহিলা। তিনি বিধায়ককে জানান, রাস্তা ভেঙে পুকুর অনেকটাই নেমে গিয়েছে। এর জন্য অ্যাম্বুল্যান্স, জলের গাড়ি এলাকায় ঢুকতে পারে না। স্থানীয়দের বক্তব্য, বিধায়ক আগেও এলাকায় এসে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। স্থানীয় কাউন্সিলরও এলাকার খোঁজ নেন না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়েরা।
স্থানীয় বাসিন্দা কাকলি গুপ্ত বলেন, ‘‘রাস্তা পুরো ভেঙে গিয়েছে। আমার বাড়িতে একটা অনুষ্ঠান ছিল। জলের গাড়ি আসতে পারেনি রাস্তার জন্য। বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে বলে এসেছি। কোনও কাজ হয়নি। উনি শুধু এসে দেখেন, কথা শোনেন। কিন্তু কোনও কাজ হয় না। আমরা বিধায়ককেই ভোট দিই। মিটিং-মিছিলেও যাই। এলাকার উন্নয়ন হয় না।’’ রাজু পালও ওই এলাকায় থাকেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের যাতায়াতের রাস্তা পুরো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিধায়ককে বলা হয়েছে। উনি বলেছিলেন রাস্তাটা করে দেবেন, কিন্তু হয়নি। আজ আবার বলা হল।’’
বিধায়ক অবশ্য একে ‘ক্ষোভ’ বলতে রাজি নন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনতেই বেরিয়েছি। ওঁরা ওঁদের কথা জানাচ্ছেন। এটাকে আমি ক্ষোভ বলব না। ওঁরা অভিযোগ করেছেন যে, কাউন্সিলর কোনও খোঁজ নেন না। দলের প্রতীকে জিতেছেন। আমি যা ব্যবস্থা করার করব। এই এলাকায় আগে কিছু ছিল না। যা করার আমিই করেছি। আবার করতে হবে। যে রাস্তাটা ভেঙে গিয়েছে, সেটাও আমি করেছিলাম। এটা একটা বড় কাজ। একটু ধৈর্য ধরতে হবে।’’