আগামী ১০ ডিসেম্বর দীঘায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী, প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে
বর্তমান | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক ও সংবাদদাতা, কাঁথি: তিনদিনের সফরে আগামী ১০ডিসেম্বর দীঘায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য, দীঘায় জগন্নাথধামের কাজ পরিদর্শন। মুখ্যমন্ত্রীর এই পরিদর্শনের পরই দীঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের কাউন্টডাউন শুরু হবে। কবে নাগাদ সর্বসাধারণের জন্য মন্দিরের দরজা খোলা হবে, তা এলাকা পরিদর্শনের পরই ঠিক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই সফর ঘিরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিস মহলে তৎপরতা তুঙ্গে। জগন্নাথ মন্দিরের কাজ পরিদর্শনের পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজের রিভিউ মিটিং হতে পারে। সেকথা মাথায় রেখেই শুক্রবার সকাল থেকে দীঘায় জেলা প্রশাসন ও পুলিসের শীর্ষ আধিকারিকরা ব্যস্ত রইলেন।
এই মুহূর্তে দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। শেষ মুহূর্তে কজের গতি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী, পুলিস সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য সহ প্রশাসনের অন্যান্য অফিসাররা মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন। জগন্নাথ ধামের সামনে সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। সেখানে ডিএসডিএর উদ্যোগে নেচার পার্ক তৈরির কাজ চলছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওইসব কাজ পরিদর্শন করার পাশাপাশি দ্রত শেষ করার নির্দেশও দেওয়া হয়। জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে জোরকদমে। এছাড়া দীঘা ওয়েলকাম গেটের আদলে পুরনো জগন্নাথ মন্দিরমুখী রাস্তার উপর ‘চৈতন্যদ্বার’ গেট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এদিন অফিসাররা সেইসব কাজ খতিয়ে দেখেন।
এদিন জেলা প্রশাসন ও পুলিসের শীর্ষ অফিসাররা দীঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালেও যান। ডিএসডিএর উদ্যোগে হাসপাতালে বেশকিছু পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে যেতে পারেন ধরে নিয়ে আগাম প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে প্রশাসন। একইসঙ্গে দীঘায় সরকারি উদ্যোগে অন্যান্য যে কাজকর্ম চলছে সেসব পরিদর্শন করা হয়। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী দীঘায় এসে সৈকত আবাস লাগোয়া ‘দীঘি’ আবাসে থাকবেন। পুলিস-প্রশাসনের আধিকারিক ‘দীঘি’ পরিদর্শন করেন। সেখানকার পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। সেখানে বেশকিছু সংস্কারের কাজ চলছে। সেই কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিন জেলা প্রশাসন ও পুলিস অফিসাররা দীঘিতে আলোচনায় বসেন। সেখানে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি, পূর্ত, বিদ্যুৎ, দমকল, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ সমস্ত লাইন ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী তিনদিনের এই সফরে প্রশাসনিক কাজকর্মের রিভিউ মিটিং করতে পারেন ধরে নিয়ে এদিন তার প্রস্তুতি বৈঠক হয়। পানীয় জলের অবৈধ সংযোগ কাটা নিয়ে এখন স্পেশাল ড্রাইভ চলছে। এই জেলায় প্রায় ৩৯০০ অবৈধ সংযোগ রয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী পিএইচই দপ্তরের মিটিংয়ে উল্লেখ করেছেন। সেই কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি আবাস যোজনার ফাইনাল উপভোক্তা তালিকা তৈরির কাজও দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন জেলাশাসক ও পুলিস সুপার ছাড়াও কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য, দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সিইও অপূর্বকুমার বিশ্বাস সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা ছিলেন।