• শীতে বাড়তেই পর্যটকরা ঝাড়গ্রামমুখী, বেলপাহাড়ীর জঙ্গল, পাহাড়ে বাড়ছে ভিড়
    বর্তমান | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: ঝাড়গ্ৰামের অন্যতম পর্যটনস্থল বেলপাহাড়ী। শীত পড়তেই এখানের জঙ্গল, পাহাড়, নদী, জলপ্রপাত, প্রাগৈতিহাসিক গুহা দেখতে ভিড় জমান পর্যটকরা। যাতে এলাকায় পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটছে। স্থানীয় বেকার যুবক-যুবতীদের কাজের সুযোগ বাড়ছে। এলাকার মানুষের আর্থিক বিকাশ ঘটছে। 


    বেলপাহাড়ী জেলার অনুন্নত এলাকা বলে পরিচিত ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা কৃষি ও দিনমজুরের কাজ করতেন। স্থানীয় যুবক-যুবতীরা কাজের সন্ধানে পার্শ্ববর্তী রাজ্যে পাড়ি দিতেন। পর্যটন ব্যবসা সেই ছবি বদলে দিয়েছে। পর্যটকদের আগমনে এখন জমজমাট বেলপাহাড়ী। পর্যটন শিল্পের হাত ধরে স্থানীয় যুবক-যুবতীরা এখানেই কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। আদিবাসী সমাজের কাঠিনাচ, পাতানাচ, ভুয়াং নাচ ছাড়াও লোকশিল্পীদের নৃত্য, গান পরিবেশনের সুযোগ বাড়ছে। স্থানীয় শিল্পীদেরও অর্থ রোজগারের সুযোগ বাড়ছে। পর্যটকরা  গ্ৰামীণ এলাকার খাবারের স্বাদ নিতে চাইছেন। যার জেরে হোটেল, লজ, হোম-স্টেতে টাটকা সব্জি, দেশি হাঁস-মুরগির চাহিদা বাড়ছে। স্থানীয় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতের তৈরি শিল্পকর্ম বিক্রি বাড়ছে। পুজোর মরশুমে এবার বেলপাহাড়ী জেলার অনান্য পর্যটনস্থলগুলিকে টেক্কা দিয়েছে। শীত পড়তেই বেলপাহাড়ী এলাকায় পর্যটকদের আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। এলাকার হোটেল ও রিসর্টের মালিক প্রতীক মাইতি বলেন, প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের টানে পর্যটকরা এখানে বেড়াতে আসেন। গাডরাসিনী পাহাড়, ঘাগরা জলপ্রপাত, খান্দারানি হ্রদ, কাঁকরাঝোড় বন, লালজল গুহার মতো স্থল রয়েছে। এলাকায় বহু হোটেল, লজ, হোম-স্টে গড়ে উঠেছে। স্থানীয় যুবক ও যুবতীদের আমরা কাজ দিচ্ছি। ঝাড়গ্রাম হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শিবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পর্যটনস্থলগুলিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। যাতায়াতের সুবিধার্থে রাস্তাঘাট তৈরি হচ্ছে। নতুন নতুন হোটেল, রিসর্ট, হোম-স্টে গড়ে উঠছে। স্থানীয় ছেলেমেয়েরা সেখানে কাজ পাচ্ছেন। ঢাঙ্গিকুসুম এলাকার যুবক বিপ্লব কর্মকার বলেন, স্থানীয় এক হোম-স্টেতে কাজ করি। কাজের জন্য আগে ঝাড়খণ্ডে যেতে হতো। এখানে পর্যটক বাড়ায় কাজের সুযোগ বাড়ছে। এলাকায় কাজের সুযোগ মেলায় বিনপুর-২ পঞ্চায়েতে সমিতির সভাপতি বিকাশচন্দ্র সরকার বলেন, বেলপাহাড়ী এলাকায় আসার জন্য আগে ভালো রাস্তা ছিল না। পর্যটকরা বেড়াতে এসে রাতে ফিরে যেতেন। থাকা ও খাওয়ার সেভাবে কোনও ব্যবস্থা ছিল না‌। বেলপাহাড়ী জেলার অনান্য পর্যটনস্থলগুলিকে এখন টেক্কা দিচ্ছে। পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটায় কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)