• শুশুক ঘিরে পর্যটনের বিকাশ কাটোয়ায়
    বর্তমান | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: জাতীয় জলজ প্রাণী গাঙ্গেয় ডলফিন বা শুশুক ঘিরে পর্যটনশিল্প গড়ে উঠছে কাটোয়ায়। কাটোয়ার গ্রামীণ এলাকায় ভাগীরথী, অজয় বা অন্য ছোট নদীর তীরে ছোটখাট ইকো রিসর্ট গড়ে উঠছে। পর্যটকরা সেখানে গ্রাম্য প্রকৃতি যেমন উপভোগ করছেন, তেমনি তাঁদের নৌকাবিহারে নিয়ে গিয়ে শুশুক ও অন্য জলজ প্রাণী দেখাচ্ছেন রিসর্ট মালিকরা। বন্যপ্রাণ ও প্রকৃতিপ্রেমী বহু পর্যটক কলকাতা ও শহরতলি থেকে এখানে আসছেন। তাঁরা শুশুক দেখার ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তা দেখে এই বিলুপ্তপ্রায় জলজ প্রাণীকে চাক্ষুষ করতে বহু মানুষ আসছেন।


    কাটোয়া শহর ঘেঁষে ভাগীরথী বয়ে গিয়েছে। এখানেই অজয় নদ এসে ভাগীরথীতে মিশেছে। মোহনা হওয়ায় এই এলাকায় প্রতি বছর যথেষ্ট মাছের জোগান থাকে। শুশুকদের বিচরণের জন্যও এই জায়গা উপযুক্ত। কল্যাণপুর থেকে পাটুলি পর্যন্ত ভাগীরথীর প্রায় ৩০কিমি এলাকাজুড়ে নদীতে শুশুকের দেখা মেলে। কাটোয়ার শাঁখাই ঘাট এলাকায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেই নদীতে এই প্রাণীকে খেলে বেড়াতে দেখা যায়।


    কাটোয়া লাগোয়া নয়াচরের বাসিন্দা গণেশ চৌধুরী বহুদিন ধরে ডলফিন নিয়ে কাজ করছেন। কীভাবে ডলফিন বাঁচানো ও তাঁদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায়, মূলত তা নিয়েই তিনি কাজ করেন। বনদপ্তরের কাছে গণেশবাবু ‘ডলফিন মিত্র’ নামেও পরিচিত। তাঁর প্রায় ১৪জনের একটি দল ডলফিন সহ অন্য বন্যপ্রাণী বাঁচানোর কাজ করে। এই দলের সবার সংসারও চলে ডলফিনকে ঘিরেই। এখানে যে সমস্ত পর্যটক আসেন, তাঁদের নৌকায় করে ডলফিন দেখাতে নিয়ে যান তাঁরা। ডলফিনের পাশাপাশি পর্যটকদের কচ্ছপ, ঘড়িয়াল, নানা পাখি ও অন্য প্রাণীও তাঁরা দেখান। রাতের দিকে ভাগীরথীর বুকে বিভিন্ন চরে নাইট সাফারিও হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)