• হনুমানের মৃত্যুতে বনদপ্তরের হাজিরা এড়াচ্ছেন অভিযুক্ত চাষি
    বর্তমান | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: কেতুগ্রামের শাঁখাইতে বিষক্রিয়ায় ১০টি হনুমানের মৃত্যুর ঘটনায় জমিতে দেওয়া কীটনাশকের নমুনা নিয়ে অভিযুক্ত চাষি সাগর দাসকে তলব করেছে কাটোয়া বনদপ্তর। কিন্তু ওই চাষি বনদপ্তরের হাজিরা এড়াচ্ছেন। তবে জমিতে কীটনাশক দেওয়া ফসল খেয়েই হনুমানগুলির মৃত্যু হয়েছে তা মানতে রাজি নন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। সাগরবাবু বলেন, আমি দু’ দিনের মধ্যেই বনদপ্তরে গিয়ে কীটনাশকের নমুনা জমা দিয়ে আসব। 


    পূর্ব বর্ধমান জেলার বনদপ্তরের এডিএফও সৌগত মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা স্থানীয় চাষি সাগর দাসের নামে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। ওই চাষি আমাদের কাছে বলেছিলেন তিনি হনুমান মারার জন্য নয়, রোগ পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতেই কীটনাশক প্রয়োগ করেছিলেন। আমরা ওই চাষিকে কীটনাশকের নমুনা নিয়ে বনদপ্তরে অফিসে জমা দিতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি আসেননি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আমাদের মনে হয়েছে হনুমানগুলিকে উদ্দ্যেশ্যে প্রণোদিতভাবেই মারা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর বিকালে কেতুগ্রামের শাঁখাই এলাকায় তিনটি অল্পবয়সী হনুমানের মৃতদেহ উদ্ধার করে বনদপ্তর। পরের দিন রবিবার সকালে আরও পাঁচটি পূর্ণবয়ষ্ক হনুমানের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আরও দু’টি হনুমানের মৃতদেহ উদ্ধার করা যায়নি। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগরবাবুর দেওয়া কীটনাশকের নমুনা কৃষিদপ্তরে দেখানো হবে। তাঁরা জানতে চাইছেন, জমিতে কতটা মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছিল। 
  • Link to this news (বর্তমান)