পরিস্রুত জল ও শৌচালয়ের সমস্যা ঐতিহ্যবাহী শিকারপুর হাটে, ক্ষোভ
বর্তমান | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, রাজগঞ্জ: রাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী হাট শিকারপুর। সপ্তাহে দু’দিন হাট বসে। শনি এবং বুধবার। হাটে পাঁচ হাজারেরও বেশি ব্যবসায়ী আসেন। ক্রেতার সংখ্যা কয়েকগুণ। হাটবারে কী পরিমাণ ভিড় হয়, তা সহজে অনুমেয়। অথচ এমন হাটে শৌচালয় নিয়ে সমস্যা দীর্ঘদিনের। সেই হাটে পরিস্রুত পানীয় জলের অভাব। শৌচালয় না থাকায় হাটে এসে মহিলারা সমস্যায় পড়েন। শিকারপুর হাটে পাঁচটি পানীয় জলের ট্যাঙ্ক থাকলেও সেই জলে আয়রন এবং আর্সেনিক রয়েছে। এজন্য সেই জল খাবার অযোগ্য বলে স্থানীয়দের মত।
ধনঞ্জয় রায়, মন্টু দাস, অর্জুন রায় নামে হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, হাটে পানীয় জলের জন্য প্রায় একবছর আগে ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে তা থেকে পরিস্রুত পানীয় জল মেলে না। আয়রন থাকায় জল তা ব্যবহারের উপযোগী নয়। পাঁচটির মধ্যে দু’টি ট্যাঙ্ক থেকে জল এলেও বাকি তিনটি ট্যাঙ্ক অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তিনটি হ্যান্ডপাম্প এখন বেহাল অবস্থায় রয়েছে। দু’টি কুয়ো রয়েছে। ধানহাটের কাছে কুয়োর জল ব্যবহার করা গেলেও কাপড় হাটের কুয়োটিতে আবর্জনা ফেলায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পাশেই রয়েছে শৌচালয়। কিন্তু সেটিও ব্যবহারের যোগ্য নয়। হাটের দিন মশামাছির উপদ্রব এবং দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
হাটে ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের যত্রতত্র শৌচকর্ম করতে হয়। পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি সমস্যায় পড়েন। এ বিষয়ে হাট কমিটির উপদেষ্টা তথা শিকারপুর অঞ্চল সভাপতি নারায়ণ বসাক বলেন, শিকারপুর হাটে পানীয় জলের সমস্যা তো রয়েছেই, শৌচালয়েরও সমস্যা রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এখন হাটে শেডঘরের কাজ চলছে। সেগুলি সম্পূর্ণ হলে পানীয় জলের ব্যবস্থাও করা হবে।