সংবাদদাতা, মালদহ: শীত মানেই নতুন নতুন সব্জির সঙ্গে বেশকিছু লোভনীয় মিষ্টির সম্ভারও। জয়নগরের মোয়া যেমন জনপ্রিয়, ঠিক তেমনই শীতকালে চাহিদা তুঙ্গে ওঠে নলেন গুড়ের সন্দেশ, রসগোল্লার।
মালদহের বিভিন্ন এলাকায় খেজুর গাছ থেকে সংগৃহীত রস ফুটিয়ে তৈরি হয় নলেন গুড়। মালদহে নতুন গুড় দিয়ে তৈরি সন্দেশ ও রসগোল্লার চাহিদা শীতকালে একলাফে অনেকটাই বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন মিষ্টি বিক্রেতারা।
মালদহের মিষ্টির মধ্যে সবচেয়ে বেশি খ্যাতি রয়েছে রসকদম্ব ও কানসাট চমচমের। তবে শীতকালে খেজুর গুড়ের মিষ্টির চাহিদা রসকদম্ব, কানসাটকেও ছাপিয়ে যায়। এমনকি যাঁদের ব্লাড সুগার রয়েছে, তাঁরাও সব ভুলে এক আধদিন স্বাদ নেন খেজুর গুড়ের রসগোল্লা এবং সন্দেশের।
মালদহ শহরের বাঁশুলিতলা এলাকায় মিষ্টির দোকান রয়েছে বিভাস সর্দারের। তাঁর কথায়, শীতকালে নলেন গুড়ের মিষ্টির চাহিদা এতটাই বেড়ে যায় যে বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে আমাদের বেশি করে তৈরি করতে হয়। বিভাসবাবু বলেন, সারা বছরই সাদা রসগোল্লা ও কাঁচা সন্দেশের সঙ্গে সঙ্গে আমরা ম্যাঙ্গো রসগোল্লা ও বিভিন্ন স্বাদের সন্দেশ তৈরি করি। কিন্তু শীতকালে খেজুর গুড়ের মিষ্টির চাহিদা বাকিগুলিকে ছাপিয়ে যায়।
তবে নলেন গুড়ের মিষ্টি তৈরির ক্ষেত্রে মালদহের স্থানীয় গুড়ের চেয়েও ব্যবসায়ীরা পছন্দ করেন মূলত মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া থেকে আসা গুড়। মালদহের স্থানীয় খেজুর গুড়ের দাম যেখানে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা প্রতি কেজি, মুর্শিদাবাদ বা নদীয়া থেকে আসা খেজুর গুড়ের দাম শুরুই হচ্ছে কেজি প্রতি ৩০০ টাকা থেকে।
মালদহের মিষ্টিপ্রেমী সৌরভ দাশগুপ্ত, সুনীল আগরওয়াল, শ্যামলী বাগচী, ইকবাল হোসেন রানা প্রমুখ বলেন, শীতকালে নলেন গুড়ের সন্দেশ, রসগোল্লা ছাড়া খাওয়াদাওয়া জমে না। পিকনিক হোক বা ভূরিভোজ, শেষপাতে নলেন গুড়ের রসগোলা বা মিষ্টি আবশ্যিক।