সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: নকশালবাড়ির রকমজোতে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশেই অবৈধভাবে তৈরি হয়েছে স্টোন ইয়ার্ড। অথচ নজর নেই প্রশাসনের। এই পাথর ডাম্পারে করে বিহারে পাচার হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনেরএকাংশের মদতে এই কারবার চলছে। এতে জড়িত রয়েছে এলাকার বালি মাফিয়ারা। নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গাইড ম্যান। যাদের সাহায্যে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে গ্রামীণ রাস্তা হয়ে মহাসড়কে দিয়ে ভিনরাজ্য পাড়ি দিচ্ছে পাহাড়ি নদীর বোল্ডার।
নকশালবাড়ির অদূরে ভারত-নেপাল সীমান্তের রকমজোতে মেচি নদী থেকে ট্রাক্টরে বোল্ডার ভরে আনা হচ্ছে। যা একটি ক্রাসার ইউনিটের পাশে জমিয়ে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে রাতের অন্ধকার একাধিক ডাম্পারে বোঝাই করে পাচার হচ্ছে। ওই এলাকার নদীতে খননের লিজ কিংবা ডাম্পিং ইয়ার্ডের কোনও অনুমতি নেই। অথচ সীমান্ত লাগোয়া কাচা রাস্তার দু’ধার বোল্ডারের পাহাড়ে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ বিশ্বকর্মা বলেন, একটি ক্রাসার ইউনিট নিয়ে অনেকের আপত্তি আছে। তবে স্থানীয় কিছু মানুষ এই কারবারে সরাসরি জড়িত থাকায় তাদের ভয়ে সরব হওয়া যায় না। অপর এক বাসিন্দা সুরজ প্রধান বলেন, হাতির করিডরে বোল্ডার জমিয়ে রাখায় এখন গ্রামের পাশ দিয়ে হাতির দল চলাচল করছে। এতে যে কোনও দিন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর জানিয়েছে, ব্লকে দু’টি ক্রাসার ইউনিট, একই নদীর দু’টি ঘাট ও স্যান্ড ইয়ার্ডের অনুমতি রয়েছে। তবে ইতিমধ্যে সরকারি গাইডলাইন না মেনে ঢাকনাজোতে দু’টি স্যান্ড ইয়ার্ড চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুরো বিষয়টি দপ্তর খতিয়ে দেখছে। নকশালবাড়ির বিডিও প্রণব চট্টরাজ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ভূমি সংস্কার দপ্তরকে ব্যবস্থা নিতে বলব। নকশালবাড়ি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক দেবরাজ বাগ বলেন, ক্রাসার ইউনিটের পাশে এমন কিছু চলছে, এমন খবর কেউ জানায়নি।