জৈবসার বানিয়ে বাজারজাত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত
বর্তমান | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সব্জির খোসা দিয়ে জৈবসার তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত। এর আগে এই গ্রাম পঞ্চায়েত প্লাস্টিক ডাস্ট তৈরি করেছিল। যেটা দিয়ে জলপাইগুড়ি জেলায় বিভিন্ন এলাকায় বিটুমিনের সঙ্গে মিশিয়ে রাস্তা বানানো হয়েছে। এবার তারা সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের মধ্য দিয়ে জৈবসার বানানো শুরু করেছে। প্যাকেটবন্দি করে সেই সার পরীক্ষামূলক ভাবে বিক্রিও শুরু করছে।
খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই কাজে নিযুক্ত। ৫০ কেজি করে প্যাকেট তৈরি করা হচ্ছে। বর্তমানে ২০ টাকা কেজি দরে সেই সার খুচরো বিক্রিও শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৪০০ প্যাকেট জৈবসার প্রস্তুত করেছে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন জায়গা থেকে সারের জন্য অর্ডার আসছে, দাবি তাদের। ময়নাগুড়ির বিডিও প্রসেনজিৎ কুণ্ডু বলেন, রাসায়নিক সারের পরিবর্তে চাষিরা যাতে জৈবসার দিয়ে চাষ করতে পারেন তারজন্যই এই উদ্যোগ। আশা করছি, এতে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত অনেক বেশি স্বনির্ভর হতে পারবে।
বছর খানেক আগে ময়নাগুড়ি পুরসভার সঙ্গে মৌ-স্বাক্ষরিত হয় খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের। তারপর থেকে শহরের বর্জ্য পাঠানো হচ্ছে খাগড়াবাড়ি-২ পঞ্চায়েতের প্রকল্প স্থলে। সেখানে দু’টি আধুনিক মেশিন আছে। বাড়ি বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা শাক-সব্জির খোসা এনে সেই মেশিনে প্রক্রিয়াকরণ করে তৈরি করা হচ্ছে জৈবসার। এর জন্য সময় লাগছে মাত্র ৭২ ঘণ্টা।
খাগড়াবাড়ি-২ পঞ্চায়েতের প্রধান বাবলু রায় বলেন, শাক-সব্জির খোসা ওই দু’টি মেশিনে রাখার ৭২ ঘণ্টার পর সেটা পচে যায়। পরবর্তীতে সেটি রোদে শুকতে হয়। ঝাড়াইয়ের পর তৈরি হয় জৈবসার। এরপর করা হচ্ছে প্যাকেট। এই সার বিক্রি করে যে আয় হবে তা গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়ন খাতে খরচ করা হবে।
বিডিও আরও বলেন, খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে যে সার তৈরি করা হয়েছে তা উত্তরবঙ্গ কৃষি বিদ্যালয়ের বিশ্লেষণাত্মক রিপোর্ট সহ বিক্রি হচ্ছে। এর আগে আমরা প্লাস্টিকের ডাস্ট দিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ করেছি। এবার কৃষকদের জন্য জৈবসার করা হচ্ছে। ময়নাগুড়ি ব্লকের অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েতেও সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প রয়েছে। সেখানেও এবার সার তৈরি করা হবে। বিপুল পরিমাণ সার যাতে করা যায় তার চেষ্টা আমরা শুরু করেছি।