সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: তিন বছর আগে গাজোলে দমকল কেন্দ্র তৈরির জন্য ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দপ্তরের তরফে স্থানীয় শালবনাতে ৪৭ ডেসিমেল জমি সংশ্লিষ্ট বিভাগের হাতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবুও এখনও পর্যন্ত কাজ এগয়নি। এনিয়ে গাজোলবাসী কার্যত হতাশ। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা ওই ব্লকে দ্রুত দমকল কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন।
গাজোল ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, কয়েক বছর আগেই শালবনাতে ৪৭ ডেসিমেল জমি দমকল বিভাগকে দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তারপর আর কোনও খবর আমাদের কাছে নেই।
উল্লেখ্য, মালদহ জেলার মধ্যে গাজোল এখন অন্যতম শিল্পতালুক হয়ে উঠেছে। পুরাতন মালদহের নারায়ণপুরের মতো এখানে বড় বড় মিল, ফ্যাক্টরি, মার্কেট, জনবসতি গড়ে উঠেছে। কোথাও আচমকা আগুন লাগলে ভয়াবহ সমস্যা হয়। কারণ ২৫ কিমি দূরের ইংলিশবাজার থেকে ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছতে না পৌঁছতেই সব ভস্মীভূত হয়ে যায়। সেজন্য বাম আমল থেকেই গাজোলে দমকলের দাবি রয়েছে। কয়েক বছর আগে দমকলের জন্য শালবনাতে জমি চিহ্নিত হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভূমি দপ্তরের সহযোগিতায় ওই জমি হস্তান্তর হয়ে গিয়েছে। এরপরেও কাজ শুরু হয়নি।
গাজোল বণিক সভার সম্পাদক বিধানচন্দ্র রায় বলেন, আমাদের গাজোলের ব্যবসায়ীদের একাধিক বড় বড় জুট মিল রয়েছে। স্থানীয় এলাকায় আরও শিল্প হচ্ছে। অতীতে আমাদের মিলে ভয়াবহ আগুন লেগে অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা নিরুপায়। গাজোলে দমকল কেন্দ্র থাকলে এত ক্ষতি হতো না। জমি স্থানান্তর হয়ে গিয়েছে। আমাদের ব্যবসায়ী মহলের অনুরোধ, দ্রুত কাজ শুরু করে দেওয়া হোক। দমকলের মালদহ ডিভিশনের আধিকারিক শিবানন্দ বর্মন বলেন, ২০২২ সালে আমি মালদহ থেকে অন্য জেলায় বদলি হয়েছিলাম। তার আগেই জমি হস্তান্তরিত হয়েছিল। তারপর আমি জেলায় ছিলাম না। সদ্য আবার জেলায় যোগ দিয়েছি। বিষয়টি কী রয়েছে তা খতিয়ে দেখব। গাজোলের বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাস বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দমকলের বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। খতিয়ে দেখা হবে।