নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উপনির্বাচন থাকা জেলাগুলি বাদ দিয়ে সমীক্ষার কাজ প্রায় শেষ। তার মধ্যেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সুবিধা দিতে আজ শনিবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হচ্ছে ইউনিক ডকুমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন নম্বর ‘ইউডিআইএন’ তৈরির কাজ। প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে যাচাই প্রক্রিয়া চালানোর পাশাপাশি বাড়তি সুরক্ষা হিসেবে প্রত্যোক উপভোক্তাকার জন্য এই ‘ইউডিআইএন’ নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। জানা গিয়েছে, ইউডিআইএন নম্বর তৈরির সময় উপভোক্তাদের আধার কার্ডও যাচাই করে নেওয়া হবে। যাঁদের আধার কার্ড থাকবে না, তাঁদের জন্য আলাদা করে বায়োমেট্রিক ছাপ নেওয়ারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, উপভোক্তাকা তালিকরায় যাঁদের নাম রয়েছে তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ‘ইউডিআইএন’ নম্বর দেওয়ার কাজ করবে গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মিরা। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তত ১২৫ জন উপভোক্তার ‘ইউডিআইএন’ দেওয়ার কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই নম্বর দেওয়ার সময়ই উপভোক্তাদের ডিজিটাল মুচলেকা নেওয়ার কাজও করে রাখবেন আধিকারিকরা। নির্দিষ্ট অ্যাপে উপভোক্তাদের ভয়েস রেকর্ড করে রাখা হবে। যেখানে তাঁদের বলতে হবে যে তাঁরা এই টাকা বাড়ি তৈরি ছাড়া আর অন্য কোনও কাজে লাগাবেন না। কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায়, সম্পূর্ণ টাকাই নিজের কোষাগার থেকে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। তার আগেই প্রায় ৩৬ লক্ষ সম্ভাব্য উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাইয়ের কাজ চালায় রাজ্য সরকার। যে তালিকায় রয়েছে কেন্দ্রের আবাস প্লাস প্রকল্পের তালিকায় থাকা উপভোক্তা, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে পাকা বাড়ি চেয়ে আবেদনকারীরা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাঁদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে তাঁদের নাম। অধিকাংশ নামই আবাস প্লাস প্রকল্পের বঞ্চিতরা। তাই কেন্দ্র বিগত দু’বছর টাকা না দেওয়ায় তাঁরা বর্তমানে বাড়ি পাওয়ার যোগ্য কি না জানতেই সমীক্ষা চালায় রাজ্য।