নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির দায়ের করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পেলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। শুক্রবার শর্ত সাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, মামলার সঙ্গে যুক্ত কোনও তথ্য ও প্রমাণ নষ্ট করা যাবে না। প্রভাবিত করা যাবে না সাক্ষীদের। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যেতে যাওয়া যাবে না। নিম্ন আদালতের এলাকার বাইরেও যেতে পারবেন না তিনি। দেড় বছর আগে কালীঘাটের কাকুকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই মামলাতেই এদিন জামিন পেলেন ‘কাকু’।
এদিকে, সুজয়কৃষ্ণকে ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সিবিআই। তবে এদিনও তাঁকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখাতে পারেনি তারা। সিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফের ‘কাকু’কে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত। আগামী ৯ তারিখ তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে। ফলে হাইকোর্ট থেকে জামিন মিললেও এখনই জেলমুক্তি হচ্ছে কি না তা নিয়ে আপাতত ধোঁয়াশা বজায় রইল। এর আগের শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজির হননি সুজয়কৃষ্ণ।
অন্যদিকে, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হতে পারেন, এই আশঙ্কা করে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা বিচারাধীন। সেখানে সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেছিল আদালত। প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, দেড় বছর ধরে কাকু জেলে রয়েছেন। এতদিন পরে কেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হল? তিনি জামিন পেতে পারেন আশঙ্কা করেই সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে চাইছে? হাইকোর্টে মামলাটি বিচারাধীন থাকাকালীনই তাঁকে হেফাজতে নিতে চেয়ে নিম্ন আদালতে নতুন করে আবেদন জানায় সিবিআই।