নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া এবার হুগলির চণ্ডীতলায়। দিনকয়েক আগেই মৃত্যু হয়েছিল মেয়ের। সেই মেয়ের মৃতদেহ আগলে বাড়িতেই বসেছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন মা। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনাটি হুগলির চণ্ডীতলার খানাবাটির। মৃত কিশোরীর নাম অরিত্রি ঘোষ (১৪)। ওই কিশোরী বিশেষভাবে সক্ষম ছিল বলে জানা গিয়েছে। এদিন চণ্ডীতলা থানার পুলিস পচাগলা অবস্থায় দেহটি উদ্ধার করে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চণ্ডীতলার খানাবাটির বাসিন্দা প্রভাস ঘোষ সাত বছর আগে মারা যান। তারপর থেকে তাঁর স্ত্রী অপর্ণা ঘোষ মেয়ে অরিত্রিকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকতেন। অপর্ণাদেবী দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক ভারসাম্যহীন। মেয়ে অরিত্রিও বিশেষভাবে সক্ষম। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ ছিল না অপর্ণাদেবীর। গত কয়েকদিন স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে বাড়ি থেকে বেরতে দেখেননি। এদিন সকালে ওই বাড়ির পাশ দিয়ে গেলেই দুর্গন্ধ পান বাসিন্দারা। তাঁরা ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য পশুপতি দাসকে খবর দেন। পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, ‘বিষয়টি চণ্ডীতলা থানাকে জানালে পুলিস আসে। তাঁরা অনেক ডাকাডাকি, দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও ওই মহিলা দরজা খুলতে চাননি। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে পুলিস ওই বাড়ির ভিতরে ঢোকে।’ পুলিস জানিয়েছে, কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরীর। ঘরেই দেহটি পড়েছিল। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তার মা। পচাগলা দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। এদিকে, মেয়ের দেহ নিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়রা বহু চেষ্টা করেও অপর্ণাদেবীকে রাস্তা থেকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যেতে পারেননি।
মৃতার কাকা শান্ত ঘোষ বলেন, ‘আমরা পরিবারের তরফে বউদি ও ভাইঝিকে সাহায্য করার চেষ্টা করতাম। কেউ যাতে বাড়িতে ঢুকতে না পারে, সেজন্য বউদি গেটে তালা দিয়ে রাখতেন। তালার একটি চাবি আমাদের কাছে থাকলেও পরে সেটি বদলে দেন বউদি।’ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অসুস্থ অরিত্রিকে দেখভাল করার জন্য একজন আয়া রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকেও তাড়িয়ে দিয়েছিলেন অপর্ণাদেবী। গত ছ’মাস বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে একাই