বনগাঁ গাইঘাটা: রাস্তার দু’পাশে সারি দিয়ে গাছের মৃত্যু, কারণ নিয়ে সন্দিহান এলাকার বাসিন্দারা
বর্তমান | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, বনগাঁ: একের পর এক দাঁড়িয়ে আছে মৃত গাছ। রাস্তার দু’পাশেই সারি সারি গাছের কঙ্কাল। গত এক বছরে বনগাঁ মহকুমার বেশ কয়েকটি এলাকায় রাস্তার দু’পাশে একাধিক গাছের মৃত্যু হয়েছে। তালিকায় অন্যতম বনগাঁ ব্লকের ধরমপুর পঞ্চায়েতের বনগাঁ-বাগদা সড়কের পাশে একাধিক তরতাজা গাছের মৃত্যু। এখানে প্রায় ৩০টি গাছের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যু স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে রহস্যজনক।
গত বছরও সতেজ ছিল বনগাঁ-বাগদা সড়কের পাশের এই শিশু গাছগুলি। হঠাৎই একের পর এক গাছ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। কী করে একসঙ্গে এতগুলি গাছের মৃত্যু হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার পাশের শিশু গাছগুলির ডালে এক ধরনের পোকার উপদ্রব হয়েছিল। লাল আঠার মতো রস নির্গত হতো সেই পোকাগুলি থেকে। সূত্রের দাবি, এই বিশেষ আঠা কেমিক্যাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য বহু মানুষ গাছের ডাল কেটে নিয়ে যেত। ডাল থেকে পোকার রস আলাদা করে চড়া দামে তা বিক্রি হতো। এভাবে ডাল কাটার ফলেই ধীরে ধীরে গাছগুলির মৃত্যু হয়। স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বালা বলেন, গাছগুলি রাস্তায় ছায়া দিত। পথচলতি বহু মানুষ গাছের নীচে বিশ্রাম নিত। বহু পাখির আশ্রয়স্থল ছিল সেগুলি। কী করে এতগুলি গাছের মৃত্যু হল, তা আমাদের কাছে রহস্য বলে মনে হচ্ছে।
গাইঘাটা ব্লকের রামনগর ব্লকেও রাস্তার পাশে একাধিক গাছের এভাবে রহস্যমৃত্যু হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তথা বৃক্ষপ্রেমী অজয় মজুমদার বলেন, এই গাছগুলির মৃত্যুর পর আমরা কারণ জানার অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কারণ জানা সম্ভব হয়নি। এতগুলি গাছের মৃত্যু সত্যিই বেদনাদায়ক। ধরমপুকুর পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস মণ্ডল বলেন, গাছগুলির মৃত্যু আমার কাছেও রহস্যের। মৃত গাছের ডাল ভেঙে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটছিল। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বিডিও এবং বনদপ্তরের কাছে আবেদন করায়, গাছগুলি অর্ধেক কাটা হয়েছে। গুড়িগুলি দাঁড়িয়ে আছে।