কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সংবর্ধনা পেয়েছেন কিঞ্জল নন্দ এবং সুদীপ্তা চক্রবর্তী। আর সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, 'নিজেদের স্বার্থে চলচ্চিত্র উৎসবে যেতে সমস্যা নেই? তাহলে দুর্গোৎসবের সময় সবরকম নেতিবাচকতা ছিল কেন?' আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন কিঞ্জল। সেই আবহেই সেপ্টেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর আগে উৎসবে ফেরার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাঁর সেই বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। উৎসবে না ফেরার ডাক দিয়েছিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী, কিঞ্জল নন্দরা। কিন্তু এদিন তাঁরাই কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে তাঁদের কটাক্ষ শানালেন কুণাল।
সুদীপ্তা ও কিঞ্জলের কিছু ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'দুর্গোৎসব খারাপ। ফিল্মোৎসব ভালো। দ্রোহের দ্বিচারিতা। নন্দন চত্বরে, শুক্রবার। কিঞ্জল, সুদীপ্তা। কোনও ব্যক্তি আক্রমণ নয়। কৌতূহল। উৎসব? বিচার? এসব লেখার পর নিজেদের স্বার্থে চলচ্চিত্র উৎসবে যেতে সমস্যা নেই??? তাহলে দুর্গোৎসবের সময় সবরকম নেতিবাচকতা ছিল কেন?'
জয়নগর ধর্ষণ কাণ্ডে সাজা ঘোষণা হলেও আরজি কাণ্ডে এখনও হয়নি। এক্ষেত্রেও কিঞ্জলদের দিকেই আঙুল তুলেছেন কুণাল। খোঁচা দিয়ে তিনি লেখেন, 'ও! বাই দি ওয়ে, কুলতলির ধর্ষণ, খুনে ৬২ দিনের মাথায় আজ ফাঁসির শাস্তি হল। অতিনাটক করে সিবিআই ডেকে এনে আরজি করের বিচার শেষ হল না। অভয়ার আবেগ নিয়ে কিছু লোক ছেলেখেলা করে নিজেদের স্বার্থে কাজ চালাল। আজ ক্রমশ তা সামনে আসছে। কিঞ্জল, বিচার পেয়ে গেছে অভয়া? উত্তর না হলে, এখনও তোমাদের মিছিল চললে, তুমি চলচ্চিত্র উৎসবে কেন?'
এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, 'কুলতলির ধর্ষণ ও খুনে ৬২ দিনের মাথায় ফাঁসির শাস্তি। রাজ্য পুলিশ ও আইনজীবীদের সংশ্লিষ্টমহলের এটা সাফল্য। জঘন্যতম এই অপরাধে দ্রুত তদন্ত , বিচার, সর্বোচ্চ শাস্তি একদম যথাযথ। আরজি করেও যদি তদন্ত কলকাতা পুলিশের হাতে থাকত, এতদিনে অপরাধীর ফাঁসির শাস্তি ঘোষণা হয়ে যেত। মনে রাখুন, তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশই। অভয়ার আবেগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিপথে চালনা করা কিছু স্বার্থান্বেষীর কারণে নাটক হল বেশি, অনেকের ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি হল, কিন্তু অভয়ার ন্যায়বিচার সিবিআইর হাতে গিয়ে বিলম্বিত হয়ে গেল।'