পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আবাসনের ১১ নম্বর টাওয়ারের আটতলার ফ্ল্যাটে মা-বাবার সঙ্গে থাকত ওই কিশোর। তার মা এবং বাবা, দু’জনেই পেশায় চিকিৎসক। ওই দম্পতির বড় ছেলে ইংল্যান্ডে পশু চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা করছেন। এ দিন ঘটনার সময়ে ওই কিশোরের মা-বাবা বাড়িতে ছিলেন না।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ২১তলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছে ওই কিশোর। তবে, সে নিজে ঝাঁপ দিয়েছে, না কি অসাবধানতাবশত কোনও ভাবে পড়ে গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ছাদ থেকে কিশোরের চশমা মিলেছে। তবে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর ধরে ডিসলেক্সিয়ায় ভুগছিল দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র। তার চিকিৎসাও চলছিল। এ দিন সকালে স্কুলে গিয়েছিল ওই কিশোর। সেখান থেকে বাড়ির কাছেই টিউশন নিতে যায় সে। সেখানে ব্যাগ এবং মোবাইল রেখে আবাসনে ফিরে আসে। তবে, ফ্ল্যাটে না ঢুকে সোজা উঠে যায় ২১তলার ছাদে। তার পরেই ওই ঘটনা।
এ দিন দুপুর থেকে ওই কিশোরের বাবা-মা অনেক বার ফোন করেও ছেলেকে পাননি। তাতেই উদ্বিগ্ন হয়ে তাঁরা হাসপাতাল থেকে ছেলের স্কুলে যান। সেখানে ছেলেকে না পেয়ে ওই দম্পতি বাড়ি ফিরে আসেন। তখন তাঁরা জানতে পারেন, ২১তলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে ছেলে। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই কিশোরের বাবা প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা করে জানান, ছেলে মারা গিয়েছে।