জানা গিয়েছে, বাজার এলাকা বা কোনও গয়নার দোকানকেই নিশানা করত তারা। পাশাপাশি, কখনও পুলিশ বা সিবিআই অফিসারের পরিচয় দিয়েও গয়না নিয়ে চম্পট দেওয়ার ঘটনা ঘটছিল গত কয়েক মাস ধরে। দোকানের ভিতরে ঢুকেও এমন অপরাধের অভিযোগ জমা পড়েছিল বৌবাজার, মুচিপাড়া, গড়িয়াহাট, বড়বাজার থানা এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, এর নেপথ্যে রয়েছে একটি চক্র। মুচিপাড়া, গড়িয়াহাট থানায় মোট তিনটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর ভিত্তিতেই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দফতর তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ-সহ বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করে ও খতিয়ে দেখে। তখনই পুলিশ জানতে পারে, এই চক্র পরিচিত ‘ইরানি গ্যাং’ নামে। কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহরাষ্ট্রের মধ্যে অপরাধ সংগঠিত করে এই আন্তঃরাজ্য চক্রটি। বিভিন্ন বড় শহরে অপরাধ করে গা ঢাকা দেওয়াই ছিল এই চক্রের সদস্যদের কাজ।
এর পরেই বিশেষ সূত্রে খবর মেলে যে, হাওড়ার বাউড়িয়া থানা এলাকায় একটি বাড়িতে কয়েক জন ভাড়ায় বসবাস করছে। তাদের সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য মিললে বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে বাউড়িয়া পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের একটি দল। এর পরে ওই চক্রের ছ’জন সদস্যকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।