এর পরে নিউ মার্কেটে হকার নিয়ন্ত্রণে গত সপ্তাহে টাউন ভেন্ডিং কমিটির বৈঠকে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি নিউ মার্কেট ঘুরে দেখা গেল, রাস্তা ও ফুটপাতের বিভিন্ন অংশ হকারদের দখলে চলে গিয়েছে আবারও। নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির অভিযোগ, পুলিশ সকালে এসে তুলে দিলেও হকারেরা বিকেলে ফের রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে নিচ্ছেন। হকার নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে আরও কঠোর হতে হবে বলে দাবি তাঁদের।
গত জুন মাসে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই গ্র্যান্ড হোটেলের পাশে চৌরঙ্গি স্কোয়ারের ফুটপাতের দিক পুরোপুরি হকারমুক্ত করা হয়েছিল। এ দিন ওই অংশটি ঘুরে দেখা গেল, হকারেরা ফুটপাতের পুরো অংশই দখল করে নিয়েছেন। পথচারীরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন। গ্র্যান্ড হোটেল লাগোয়া এসপ্লানেড মেট্রো স্টেশনে ঢোকার মুখেও দু’দিকের ফুটপাত হকারেরা একই ভাবে দখল করে রেখেছেন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ নাগরিক এবং নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, হকারদের জন্য মেট্রো স্টেশনে ঢোকা, বেরোনোয় বেশ হয়রানি হচ্ছে। নিউ মার্কেট এলাকার বার্ট্রাম স্ট্রিট, হুমায়ুন প্যালেস, রক্সি সিনেমার সামনের অংশেও একই অবস্থা।
নিউ মার্কেটের এস এস হগ মার্কেটের ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক গুপ্তের অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরে প্রথম ১৫ দিন নিউ মার্কেটে হকার যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু তার পর থেকেই যে কে সে-ই। পুলিশ এসে সকালে হকারদের সরিয়ে দিয়ে গেলেও বিকেলে হকারেরা রাস্তা দখল করে নিচ্ছেন। হকার নিয়ন্ত্রণে পুলিশ-প্রশাসনকে কঠোর হতেই হবে।’’
নিউ মার্কেটের রাস্তায় হকারদের দাপট বাড়ার পিছনে পুলিশকেই সরাসরি দায়ী করেছেন হকার সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক শক্তিমান ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, ‘‘গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভায় টাউন ভেন্ডিং কমিটির বৈঠকে নিউ মার্কেট থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তিন দিনের মধ্যে অবৈধ হকারদের সরাতে হবে। কিন্তু গত রবিবার সন্ধ্যায় সেই সময়সীমা পার হয়ে গেলেও অবস্থা সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। পুলিশকে বার বার বলা সত্ত্বেও কিছু কাজ হচ্ছে না।’’ যদিও নিউ মার্কেট থানার তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশের তরফে নিয়মিত নিউ মার্কেটে গিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে।