জহর সরকারের ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভা আসনে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তারপরেই পাল্টা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ঋতব্রত। সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন,'তব চরণে নত মাথা।' এর আগেও রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন ঋতব্রত। সিপিএম তাঁকে টিকিট দিয়েছিল। তবে, ২০১৭ সালে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, 'আমরা তাঁকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। তিনি যেন তৃণমূলের অদম্য চেতনার চিরস্থায়ী উত্তরাধিকারকে ধরে রাখার জন্য কাজ করেন এবং প্রতিটি ভারতীয়র অধিকারের পক্ষে কথা বলা চালিয়ে যান।'
ঋতব্রত একসময়ে ছিলেন সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সুবক্তা হিসেবেও তিনি পরিচিত। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য স্নেহ করতেন ঋতব্রতকে। ২০১৪ সালে সিপিএম তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল। পরে জীবনযাত্রা, এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক-সহ নানা বিষয়ে দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে। ২০১৭ সালে সিপিএম তাঁকে বহিষ্কার করে। বেশ কিছু সময় দলহীন রাজনীতির পর তৃণমূলে যোগ দেন ঋতব্রত। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর তৃণমূলে সাংগঠনিক রদবদল হয়েছিল। সেখানেই শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি করা হয়। এ বার তৃণমূল তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল।
ঋতব্রতকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায। তিনি লিখেছেন,'এই স্বীকৃতি সত্যিই প্রাপ্য, অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রতিফলন, যা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে শক্তিশালী করার জন্য এবং বিশ্বব্যাপী ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের জন্য ওকালতি করার জন্য ব্যায় করেছেন। যদিও এটি সময় নিতে পারে। তবে প্রতিশ্রুতি, কর্মক্ষমতা এবং কঠোর পরিশ্রম সর্বদা শেষ পর্যন্ত পুরস্কৃত হয়।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, 'আমরা তাঁকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। তিনি যেন তৃণমূলের অদম্য চেতনার চিরস্থায়ী উত্তরাধিকারকে ধরে রাখার জন্য কাজ করেন এবং প্রতিটি ভারতীয়র অধিকারের পক্ষে কথা বলা চালিয়ে যান।'
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হন জহর সরকার। আর তা নিয়েই তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে। সেপ্টেম্বর মাসে তিনি সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সেই থেকে আসনটি খালি ছিল। মুখ্যমন্ত্রী এবং টিএমসি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জহর সরকার। তিনি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া এবং সমস্যা সমাধানে দলের ব্যর্থতার জন্যও দুঃখ প্রকাশ করেন।