সন্দেশখালিতে জলাশয় থেকে উদ্ধার নিখোঁজ যুবতীর হাত-পা বাঁধা দেহ, চাঞ্চল্য
বর্তমান | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত ও সংবাদদাতা, বসিরহাট: নিখোঁজ থাকার দু’দিন পর বাড়ির অদূরেই জলাশয় থেকে উদ্ধার যুবতীর হাত-পা বাঁধা দেহ। আজ, শনিবার সাতসকালে এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় সন্দেশখালির ন্যাজাট থানা এলাকায়। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, যুবতীকে গণধর্ষণ করার পর খুন করে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ন্যাজাট এলাকায় বাড়ি ওই আদিবাসী যুবতীর। সদ্য তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। মা ও বোনের সঙ্গেই থাকতেন। বাড়ির কাছেই তাঁদের একটি খামার রয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর বিকেলে খামারে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন ওই যুবতী। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। সেদিন রাতেই ন্যাজাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর মা। পুলিসের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু হদিশ মেলেনি। এরপর আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা খামারবাড়ির একটি পুকুরে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। দেহটি জল থেকে তোলার পর দেখা যায়, সেটি ওই নিখোঁজ যুবতীর দেহ। যুবতীর পরিজনেরাও দেহটি চিহ্নিত করেন। সূত্রের খবর, মৃতার হাত, মুখ ও পা বাঁধা ছিল। এমনকী দেহটি জলে ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য কোমরে বাঁধা ছিল ইট! প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, খুন করার পরই দেহটি জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, মৃতার পরিবারের অভিযোগ, যুবতীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় বসিরাহাটের পুলিস সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিবার এবং এলাকাবাসীদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। শীঘ্রই এই খুনের কিনারা হবে।