মৃত তরুণীর পরিবারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, গত ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে বিকালে ঘোষপুর এলাকায় একটি বাগান বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ঘোষপুরের বাসিন্দা শরমা মুণ্ডা(১৮)। পরিবারের তরফ থেকে ঘটনার দিন ন্যাজাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। শনিবার সকালে বাগান বাড়ির পাশেই একটি পুকুরে তরুণীর হাত-পা বাঁধা দেহ ভাসতে দেখা যায়। খবর দেওয়া হয় থানার পুলিসে। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুকুর থেকে দেহটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঠিক কি কারনে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
উল্লেখ্য, জয়নগরে নাবালিকা ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে নজিরবিহীন রায়। ঘটনার দুমাসের মাথায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা। দোষী মুস্তাকিন সর্দারের ফাঁসির সাজা। সরকারী আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় তিনি মামলা শেষে জানান, 'মোট তিনটি মামলায় কেস রুজু করা হয়েছিল। তার মধ্যে রয়েছে পক্সো অ্যাক্ট, মার্ডার কেস, রেপ এবং মার্ডার। এই তিনটি মামলায় কেস রুজু হয়। এদিন তাকে ডেথ সেন্টেন্স দেওয়া হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'স্কুল থেকে ফেরার সময় মেয়েটির বাবা বলেছিল তুমি আসতে আসতে সাইড দিয়ে হেঁটে চলে এসো। সেই একা হওয়ার সুযোগ তুলেছিল অভিযুক্ত। সেই সময় সাইকেলে চাপতে বলে মেয়েটিকে। সেখানে অভিযুক্ত বলে আমি তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দেব। সাইকেলে তোলার মুহূর্তে দুজন সাক্ষী ছিলেন। তাঁরা দেখেন বাচ্চাটিকে সাইকেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল'।
সাইকেলে তোলার সময় বাঁধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে তখন বলেছিল মেয়েটির বাবা তাকে নাকি জানিয়েছিল বাচ্চাটিকে বাড়ি নিয়ে যেতে হবে। সেই মতন সাইকেলে চাপিয়ে নিয়ে গিয়ে নৃশংস অত্যাচার করে শিশুটির উপর। শুধু ধর্ষণ নয় মেরে ফেলে বাচ্চাটিকে। পাশাপাশি শিশুটির শরীরে মোট ৩৮টি ক্ষত ছিল। কাজ শেষে ভারি কিছুর সাহায্যে মাথা থেতলে মেরে ফেলা হয়।