আর জি কর নিয়ে গোলমালের মধ্যেই রাজ্যসভার সাংসদপদ ছেড়ে দেন জহর সরকার। ফলে সেই আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। আগামী ২০ ডিসেম্বর ওই আসনে নির্বাচন। সেই আসনেই প্রার্থী করা হয়েছে ঋতব্রতকে। একসময় সিপিএমের রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন ঋতব্রত। তবে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাঁকে বহিষ্কার করে দল। তার পরই তৃণণূল কংগ্রেসে যোগ দেন ঋতব্রত। বর্তমানে আইএনটিটিইউসির সভাপতি।
বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের যে আসন সংখ্যা তাতে ঋতব্রতর রাজ্যসভায় যাওয়া প্রায় নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ২২৬ বিধায়ক। অন্যদিকে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৬৬। ফলে ধরে নেওয়া হচ্ছে বিজেপি কোনও প্রার্থী দেবে না। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি জিতে যেতে পারেন।
একসময় জহর সরকারের মতো আইএএসকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আরজি কর কাণ্ডের সময়ে সেই জহর সরকার দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন। এমনকি দলও ছেড়ে দেন। এবার একেবারে তৃণমূল স্তরের কোনও নেতাকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ঋতব্রতকে প্রার্থী করা নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে লিখেছেন, এই মান্যতার দাবিদার উনি। রাজ্যে ট্রেড ইউনিয়নকে শক্তিশালী করতে উনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। পরিশ্রম শেষপর্যন্ত সম্মান পেয়ে থাকে।
এনিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে। এই মুহূর্তে অন্যতম যোগ্য প্রার্থী ঋতব্রত। উনি প্রাক্তন সাংসদও। এর আগে রাজ্যসভায় ওঁর পারফরমেন্স ছিল দেখার মতো। একটি আদর্শ সাংসদ।
অন্যদিকে, ঋতব্রতর প্রার্থীপদ নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ঋতব্রতকে প্রার্থী করা হয়েছে। প্রথমেই ওকে স্বাগত জানানো উচিত। আমাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত লড়াই নয়। একটা ভাবনার সঙ্গে আর একটা ভাবনার লড়াই। ঋতব্রতকে তৃণমূল কীভাবে ব্যবহার করবে তা তৃণমূলের ব্যাপার।