জসবির বরাহনগরের মাতৃমন্দির লেনে একাই থাকতেন। তাঁর দুই ছেলের মধ্যে এক জন কানাডায় এবং অন্য জন অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছে। দিদির বাড়ির কাছেই থাকেন জসবিন্দর। তিনি জানান, তাঁর দিদি ওই স্কুলেই কিন্ডারগার্টেন থেকে পড়েছেন। পরে কলেজ থেকে বেরিয়ে সেই স্কুলেই চাকরি করেছেন গত ২০ বছর ধরে। জসবিন্দর বলেন, ‘‘জামাইবাবু বছর ২০ আগে খুন হয়ে যান। তার পরেই দিদি ওই স্কুলে যোগ দেয়। দু’বছর পরেই ওর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। দিদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন, শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ পাওয়ার শংসাপত্র না আনলে গ্র্যাচুইটি এবং অবসরকালীন অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে না। দিদি বলেছিল, ওই স্কুলে ২০ বছর পড়ানোর অভিজ্ঞতার শংসাপত্র স্কুলকে দিতে হবে। ওরা তা দেয়নি। বরং অপমান করেছে। পরশু দিনও দিদিকে হেনস্থা করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।’’ জসবিন্দরের দাবি, তাঁর দিদি স্কুলের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। তাই তাঁকে হেনস্থা করা শুরু হয়।
জসবিন্দর জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সমাজমাধ্যমে দিদির ‘লাইভ’ দেখে চমকে ওঠেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করেন দিদিকে। কিন্তু জসবির ফোন তোলেননি। জসবিন্দর বলেন, ‘‘এর পরে দিদির বাড়িতে আমরা কয়েক জন ছুটে যাই। গিয়ে দেখি, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। ধাক্কা দিতে সেটি খুলে যায়। দেখি, দিদি সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়।’’
তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও উত্তর দেননি স্কুলের অধ্যক্ষ গুরমিত কৌর আরজানি। তিনি ফোন ধরেননি। ওয়টস্যাপের উত্তর দেননি। পরিচালন সমিতির এক সদস্যকে ফোন করা হলে তিনিও মন্তব্য করেননি।