• কলকাতার দুর্গাপুজো দেখতে এসে পথ ভুললেন প্রৌঢ়! খোঁজ মিলল ১০৮ কিলোমিটার দূরে
    এই সময় | ০৮ অক্টোবর ২০২২
  • শুক্রবার পুলিশি তৎপরতায় সেই পথভোলা পথিককে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল৷ জানা গিয়েছে, তিলোত্তমার শারদোৎসবের (Durga Puja) টানে বেরিয়ে পড়েছিলেন সুদূর অসমের এক প্রৌঢ়া৷ কিন্তু পথ ভুল করে তিনি মেদিনীপুর (Medinipur) জেলার পিংলা থানার (Pingla Police Station) হারমা এলাকায় পৌঁছে যান৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর নাম ঊষা ফুকান, বয়স ৫৪ বছর৷ বাড়ি অসমের বরপাত্রপথের গোলাঘাট দেরগাওন এলাকায়। তিনি অসমের কাকডাঙা হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষিকা। এই প্রৌঢ়া অসমের বাসিন্দা জেনেই পিংলা থানার পুলিশ গুয়াহাটির পুলিশের (Guwahati Police) সঙ্গে যোগাযোগ করে শুক্রবার পরিবারের হাতে তুলে দেন তাঁকে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার দুর্গা প্রতিমা (Kolkata Durga Puja) দেখতে অসম থেকে এসেছিলেন ঊষা ফুকান নামে বছর চুয়ান্নর এই প্রৌঢ়়া৷ পথ ভুলে তিনি পৌঁছে যান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার হারমা এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে পিংলা থানার পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় তাঁকে। শুক্রবার তাঁকে তাঁর পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হল পুলিশের পক্ষ থেকে।

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কলকাতায় এসে এই প্রৌঢ়়া পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কথা জানতে পারেন। এরপর হাওড়া থেকে খড়গপুরগামী একটি ট্রেনে উঠে পড়েন। কিন্তু মাঝ পথে নেমে পড়েন পিংলা থানার অন্তর্গত হাউর স্টেশনে। তিনি সেখান থেকে পৌঁছে যান পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার হারমা এলাকায়। সেখানে তাঁকে এদিক-সেদিক ঘুরতে দেখে গ্রামবাসীরা খবর দেন পুলিশে। খবর পেয়েই পুলিশ গিয়ে মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান থানায়। আরও জানা গিয়েছে, ঊষা ফুকান নামে ওই প্রৌঢ়া অসমীয়া ভাষায় কথা বলায় অনেকটাই বুঝতে অসুবিধা হয়েছিল পুলিশ আধিকারিকদের। আধার কার্ড ও পরিচয়পত্র দেখার পর পিংলা থানার পুলিশ বুঝতে পারে তিনি অসমের বাসিন্দা৷

    এরপরই যোগাযোগ করে অসমের গুয়াহাটির একটি থানার সঙ্গে। সেই সূত্র ধরেই শুক্রবার দুপুরে পিংলা এসে পৌঁছন ওই মহিলার দাদা প্রদীপ ফুকান। পিংলা থানার OC প্রশান্ত কীর্তনীয়া ওই প্রৌঢ়াকে তাঁর দাদার হাতে তুলে দেন। অসম থেকে ওই প্রৌঢ়া কলকাতায় ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। খড়গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঊষা ফুকান নামে এক মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছিল গ্রামবাসীদের সহযোগিতায়। পরে অসমের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ পুলিশের তৎপরতায় খুশি ঊষাদেবীর দাদা প্রদীপ ফুকান৷
  • Link to this news (এই সময়)