• রঘুনাথপুরে ভস্মীভূত দু’টি দোকান বিপদ থেকে রক্ষা ব্যাঙ্ক ও নাসিংহোমের
    বর্তমান | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: শনিবার রঘুনাথপুর শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হল দু’টি দোকান। এই অগ্নিকাণ্ডে কোটি টাকার বেশি জিনিসপত্র পুড়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এদিন একটি ফাস্টফুডের দোকান থেকে প্রথম আগুন ছড়ায় বলে অভিযোগ। তবে সঠিক সময় দমকল চলে আসায় পাশে থাকা একটি নার্সিংহোম ও একটি ব্যাঙ্ক বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি। দমকল কর্মীদের অনুমান শর্ট সার্কিটের কারণেই আগুন লেগেছে। এর জেরে প্রায় দু’ঘণ্টা রঘুনাথপুর-বরাকর রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আগুন লাগার ঘটনায় শহরের বাসিন্দারা ফাস্টফুডের দোকানদারকেই দায়ী করেছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই দোকানের কাছেই নার্সিংহোম ও ব্যাঙ্ক রয়েছে। এই জায়গায় কীভাবে ফাস্টফুডের দোকানের অনুমতি দেওয়া হল। 


    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রঘুনাথপুর-বরাকর রাজ্য সড়কে স্টেট ব্যাঙ্ক সংলগ্ন ফাস্টফুডের দোকানে প্রথম আগুন লাগে। ওই দোকানের পাশে থাকা একটি মোটর পার্টসের দোকান রয়েছে। সেখানেও আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। খবর পেয়ে রঘুনাথপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। স্থানীয় বাসিন্দারাও আসেন। তাঁরা প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ওই দু’টি দোকানের সমস্ত জিনিসপত্র পুড়ে গিয়েছে। দমকলের কর্মীরা ফাস্টফুড দোকানে থাকা পাঁচটি গ্যাস সিলিন্ডার বের করে নিয়ে আসেন। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটত।


    মোটর পার্টস দোকানের মালিক রাজেশ শর্মা বলেন, হঠাৎ দেখি পাশের ফাস্টফুড দোকানের এসি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তারপরেই ওই দোকানের মালিককে ফোন করি। তিনি প্রথমে ফোন ধরেননি। প্রায় ১০ মিনিট পর তিনি ফোন রিসিভ করেন। তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন। তারপর আমি দমকলে খবর দিই। দমকল আসার আগে আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। আগুনের গ্রাসে আমার দোকানের জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। নার্সিংহোম মালিক দুর্গাদাস ঘটক বলেন, বরাত জোর আমার ওষুধের দোকান ও নার্সিংহোম রক্ষা পেয়েছে।  দমকলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই দোকানের দমকলের অনুমতিপত্র নেওয়া ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোকানের ভিতর কীভাবে এতগুলি গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল তাও দেখা হচ্ছে। সম্ভবত শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন লেগে থাকবে। পুলিস জানিয়েছে, একটি দোকান চালাতে গেলে যে সব অনুমতি পত্রের প্রয়োজন হয় তা ওই দোকান মালিকের ছিল কিনা তা দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)