সংবাদদাতা, কালনা: শীত পড়তেই দেশ-বিদেশের হাজার হাজার পাখির দেখা মিলছে পূর্বস্থলী-১ ব্লকের বাঁশদহ বিলে। তা দেখতে ভিড় করছেন পাখিপ্রেমীরা। শনিবার সাতসকালে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, কাটোয়া বনদপ্তরের আধিকারিকরা পাখি পরিদর্শনে আসেন। প্রচুর পাখির কোলাহল সকলকে মুগ্ধ করেছে।
শীত পড়তেই কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী-২ ব্লকের চুপির পাখিরালয়ে পাখি দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরা। এবার সেখানে পাখির সংখ্যা কিছুটা কম। তবে পূর্বস্থলী-১ ব্লকের বাঁশদহ বিলের জলাশয়ের অনুকূল পরিবেশ থাকায় দেশ-বিদেশের পাখির ভিড়। বনদপ্তর ও পাখি বিশারদদের বক্তব্য, বিলের জলে শ্যাওলা, কচুরিপানা ও বিস্তীর্ণ জলাশয়ে পাখিদের খাবার ও বিচরণের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। তাই ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি বাঁশদহ বিলে আসছে। বনদপ্তরের আধিকারিক ও পাখি বিশারদদের কথায়, এখনও পর্যন্ত লিটিল গ্রেব, গ্রেট করমোরেন্ট, গ্রে হেরন, হুইসলিং ডাক, কমন মোরহেন সহ ২০-২৫ রকম প্রজাতির পাখি রয়েছে। পাখিরা মূলত সাইবেরিয়া, আমেরিকা, চিন, তিব্বত সহ উত্তর এশিয়া থেকে আসছে।
পাখি বিশারদ প্রিয়ব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, শীতের শুরুতেই বাঁশদহ বিলের অনুকূল পরিবেশ পাখিদের আকৃষ্ট করছে। পাখি দেখার পাশাপাশি বিস্তীর্ণ জলাশয়ে শাপলা, শালুক ও কচুরিপানার ফুলের মনোরম সৌন্দর্য পর্যটকদের মন ভরিয়ে দেবে। বনদপ্তরের আধিকারিক শিবপ্রসাদ সিনহা বলেন, গতবছর বাঁশদহ বিলে সাত হাজারের বেশি দেশ-বিদেশের পাখি ছিল। বেশিরভাগই ছিল বিদেশি পাখি। এবার শীতের শুরুতে যেভাবে পাখি আসছে তাতে এখনই প্রায় ছ’হাজার পাখির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পাখিরা আসতে থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, ৭০একরের বেশি বিস্তীর্ণ বাঁশদহ জলাশয় কচুরিপানায় ভরে গিয়েছিল। কচুরিপানা পরিষ্কার করে মাছ চাষের উপযোগী, পরিযায়ী পাখিদের বিচরণ ক্ষেত্র গড়ে তোলা হয়। বিলের পাড়ে রয়েছে গেস্টহাউস। এবার বিপুল সংখ্যক পাখি আসছে। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় সাফল্য এসেছে। নিজস্ব চিত্র