• দিনেও শহরে লোডিং ও আনলোডিং করছে ট্রাক
    বর্তমান | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: দিনের বেলা শহরে যাতে লরি প্রবেশ করতে না পারে, সেই ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে পুরসভার। কিন্তু, সেই নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিনের বেলাতেও শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় লরি দাঁড় করিয়ে চলছে লোডিং-আনলোডিং। যার জেরে যানজট লেগেই থাকছে শহরে। কিন্তু পুলিস প্রশাসনের আধিকারিকদের কার্যকরী ভূমিকা নিতে দেখা যায় না বলে শহরবাসীর অভিযোগ। 


    গত কয়েক বছরে পুরুলিয়া শহরে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। শহরের যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবে মূলত তিনটি বিষয়কেই দায়ী করা হয়। এক, শহরে অবৈধ টোটোর রমরমা। দুই, শহরের ফুটপাত দখল করে দোকানপাট ও রাস্তাঘাটের উপর অবৈধ পার্কিং। তিন, নির্ধারিত সময়ের পরেও শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ট্রাক ঢোকাকে দায়ী করছেন বাসিন্দারা। পুরসভা সূত্রের খবর, পুরুলিয়া শহরে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। সকাল ৮টার মধ্যে সমস্ত ট্রাক শহর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু, তা হচ্ছে না। 


    পুরুলিয়া শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা হল মেন রোড। এই রাস্তাটি রাঁচি রোড থেকে শুরু হয়ে ট্যাক্সিস্ট্যান্ড, মধ্যবাজার, নামোপাড়া হয়ে তেলকলপাড়ার ফ্লাইওভারে গিয়ে মিশছে। মধ্যবাজার চত্বর মূলত শহরের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। বহু পাইকারি ব্যবসায়ীর আড়ত রয়েছে। প্রতিদিন বহু পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করে আড়তে। চলে লোডিং-আনলোডিং। অভিযোগ, যে কাজ রাতে হওয়ার কথা, তা হচ্ছে দিনের বেলায়। লোডিং-আনলোডিংয়ের কাজ শেষ হতে অধিকাংশ দিনই দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে। যার জেরে এলাকায় যানজটও লেগেই থাকছে। ওই এলাকায় উপর একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু, যানজটে আটকে পড়ে সময়ে স্কুলে পৌঁছতে পারছে না পড়ুয়ারা। মধ্যবাজারের রাস্তা দিয়েই পুরুলিয়া স্টেশনে যেতে হয়। কিন্তু, সেক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। 


    তাছাড়া শহরের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র হওয়ায় সকাল হলেই চকবাজার, মধ্যবাজার এলাকায় ভিড় জমতে শুরু করে। গাড়ি পার্ক করা হয় রাস্তার উপরেই। তাতে যানজট আরও বাড়ে। তবে, জেলায় যখনই পথনিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক হয়, প্রতি বৈঠকেই এই বিষয়ে আলোচনা হয়। পুলিস প্রশাসন মিলে এব্যাপারে ‘অ্যাকশন’ও শুরু করে। কিন্তু, সপ্তাহ খানেক যেতে না যেতেই তা শিথিল হয়ে যায়। পুরসভার চেয়ারম্যান নব্যেন্দু মাহালি বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এব্যাপারে বহুবার বৈঠক করেছি। কিন্তু, সমস্যার সমাধান আজও হয়নি। (
  • Link to this news (বর্তমান)