• অতিরিক্ত পণের দাবিতে নির্যাতনের জেরে বধূর মৃত্যু, অভিযোগ নবদ্বীপে
    বর্তমান | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: অতিরিক্ত পণের দাবিতে এক বধূকে মানসিক নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। নবদ্বীপ থানার নতুন আনন্দবাসের ঘটনা। মৃতার নাম গীতা চৌধুরী ঘোষ(২১)। বুধবার রাতে বধূর বাপের বাড়ির লোকজন লোকমুখে খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পান। শুক্রবার রাতে ওই বধূর মা মেলিয়া চৌধুরী নবদ্বীপ থানায় অভিযোগ জানান। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। পুলিস তাদের খোঁজ চালাচ্ছে।


    পুলিস জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ২৯ মে নতুন আনন্দবাসের বাসিন্দা গোপাল ঘোষের সঙ্গে গীতাদেবীর বিয়ে হয়। ওই বধূর মায়ের অভিযোগ, বিয়েতে তাঁরা সাধ্যমতো যৌতুক দিয়েছেন। কিন্তু বিয়ের ছ’মাস পর থেকে অতিরিক্ত পণের দাবিতে জামাই গোপাল ঘোষ, শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাশুর ও ননদ তাঁর মেয়ের উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাতে থাকে। মেলিয়াদেবী বলেন, ওরা সবসময় আমার মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিত। মেয়ে দিনের পর দিন বাড়িতে এসে এসব ঘটনা জানাত। দু’মাস আগে আমার মেয়ে কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। এরপর থেকে ওরা আমার মেয়ের উপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। বুধবার রাত ১০টা নাগাদ লোকমুখে জানতে পারি, আমার মেয়ে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়েছে। আমরা তড়িঘড়ি মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি, ওদের বাড়ি তালাবন্ধ। এরপর শক্তিনগর হাসপাতালে গিয়ে আমার মেয়ের মৃতদেহ দেখতে পাই। ওই ঘটনার পর থেকে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির তরফে আমাদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করা হয়নি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন ও মারধরের কারণেই মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।


    মৃতার বাবা শ্যামচরণ চৌধুরী বলেন, গোপাল চরমাজদিয়া বাজারে সব্জি বিক্রি করত। দু’মাস আগে গীতার মেয়ে হয়। নাতনি হওয়ার পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েকে নানারকম কটূক্তি করত। বিভিন্ন কারণে সবসময় অশান্তি করত। ওরাই আমার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
  • Link to this news (বর্তমান)