সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করার পর দু’বার জীর্ণ ঘর খতিয়ে দেখতে আসেন আধিকারিকরা। তারপরও আবাসের খসড়া তালিকায় নাম ওঠেনি হতদরিদ্র চা বিক্রেতার। এতে হতাশ হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পেমা গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান আলি।
টিনের ছাউনি ও বাঁশের বেড়া দেওয়া জীর্ণঘরে পাঁচজনের পরিবার শাহজাহানের। স্ত্রীকে নিয়ে চায়ের দোকান করে কোনওরকমে সংসার চলে। অভিযোগ, প্রশাসনিক আধিকারিকরা শাহজাহানের জীর্ণ ঘর খতিয়ে দেখেও আবাসের তালিকায় নাম তোলেননি।
পঞ্চাশোর্ধ্ব শাহজাহান বলেন, বাস্তুভিটা ছাড়া জমি নেই। স্ত্রী, দুই নাবালক সন্তান ও একমেয়েকে নিয়ে কাঁচাঘরে থাকি। চায়ের দোকান করে কোনওরকমে পরিবার চলে। ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করার পর ব্লক থেকে লোক এসে দু’বার খতিয়ে দেখে গিয়েছেন। ঘরের ছবিও তুলে নিয়ে যায়। তারপরও তালিকায় আমার নাম নেই।
আবাসের তালিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের কংগ্রেসের কার্যকারী সভাপতি আব্দুল মান্নানও। তিনি বলেন, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও অনেকের নাম তালিকায় রয়েছে। অথচ যোগ্যরা বঞ্চিত। দুঃস্থ শাহজাহানের নাম আবাসের খসড়া তালিকায় না থাকায় প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। কেন শাহজাহানের নাম আবাসের তালিকায় ওঠেনি, সেবিষয়ে খোঁজ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাজিব খান।