• নিখোঁজ তরুণীর হাত-পা বাঁধা দেহ উদ্ধার
    বর্তমান | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত ও সংবাদদাতা, বসিরহাট: ‘আমি গোরুকে খাবার দিয়ে আসছি। তুমি বাড়ি যাও।’ মায়ের সঙ্গে তরুণীর শেষবার কথা হয়েছিল এটুকুই। তারপর অনেক খোঁজাখুঁজি হলেও তাঁর হদিশ মেলেনি। দু’দিন পর, শনিবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি জলাশয় থেকে উদ্ধার হল বছর ২১-এর ওই তরুণীর হাত-পা বাঁধা দেহ। সাতসকালে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সন্দেশখালির ন্যাজাট থানা এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, তরুণীকে গণধর্ষণের পর খুন করে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে পরিবারের তরফে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ন্যাজাট থানা। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। 


    পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাজাট থানা এলাকাতেই বাড়ি আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত ওই যুবতীর। সদ্য তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন। তাঁর বাবা আগে মারা গিয়েছেন। মা ও বোনের সঙ্গে থাকতেন। বাড়ির কাছেই তাঁদের পরিবারের একটি গো-পালন খামার রয়েছে। ওই তরুণী ও তাঁর মা সেটি দেখাশোনা করতেন। ৪ ডিসেম্বর, বুধবার বিকেলে খামারে গোরুর খাবার দিতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তরুণী। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। ওই দিন রাতেই ন্যাজাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তরুণীর মা। পুলিস খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কিন্তু হদিশ পাওয়া যায়নি। তার মধ্যেই শনিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা খামারের অদূরে একটি পুকুরে মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। ন্যাজাট থানার পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। দেহ জল থেকে তোলার পর সেটি নিখোঁজ যুবতীর বলে চিহ্নিত করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। মৃতদেহের হাত, মুখ ও পা বাঁধা ছিল। দেহটি জলে ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য কোমরে ইট বাঁধা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, খুন করে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মৃত তরুণীর এক মামা বলেন, ‘দুষ্কৃতীরা আমার ভাগ্নিকে গণধর্ষণ করে প্রমাণ লোপাটের জন্য খুন করে জলে ফেলে দিয়েছে। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ মৃতার আরেক আত্মীয়ের দাবি, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই ঘটনার সুবিচার চাইছি।’ বসিরহাট পুলিস জেলার পুলিস সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, ‘যুবতীকে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। বিভিন্ন সূত্র মারফত আমরা ইতিমধ্যে খোঁজখবর পেয়েছি। তদন্ত চলছে। খুনের কিনারা হবে শীঘ্রই।’ পুলিসের কাছে ধর্ষণ বা গণধর্ষণের অভিযোগ হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)