নন্দীগ্রামে সমবায় ব্যাঙ্কের ভোট। সেই ভোট ঘিরে মুড়ি মুড়কির মতো চলল বোমাবাজি। তমলুক কোঅপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক লিমিটেডের নির্বাচন ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি রবিবারের সকালে। অভিযোগের আঙুল বিজেপি ও তৃণমূলের দিকে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে এই বোমাবাজি চলে বলে অভিযোগ। এলাকার লোকজনের প্রশ্ন, একটা সমবায়ের ভোটেই যদি এই পরিস্থিতি হয়, তা হলে সাধারণ নির্বাচনে কী হবে!
রবিবার সকালে ভোট গ্রহণ চলছিল। ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নন্দীগ্রামের কাঞ্চননগর হাইস্কুলের সামনে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। বোমার আওয়াজে কেঁপে ওঠে এলাকা। চারদিক ধোঁয়ায় সাদা। সাধারণ লোকজন ভয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নন্দীগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক জ়োনের ১২টি ব্লকে এদিন ভোট গ্রহণ চলছে। ৬৯টি আসনের জন্য মোট ভোটার ৫৫ হাজার ৪৭১ জন। ২০০৯ সালের পর এই প্রথম এই কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কে নির্বাচন হচ্ছে। সেই ভোট ঘিরেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের এই এলাকা।
তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মেঘনাথ পালের অভিযোগ, ভেটা শুরু হতেই শাসকদলের মদতপুষ্টরা অশান্তি শুরু করে। পাল্টা তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভায় ক্ষমতা ধরে রাখতে প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে বোমাবাজি হয়েছে। ক্ষমতা ধরে রাখতে এলাকায় অশান্তি করছে ওরা।
নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গেরও একই বক্তব্য। তিনিও অভিযোগের আঙুল তোলেন দিব্যেন্দুর ভূমিকা নিয়ে। যদিও দিব্যেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, ‘এটা তো পুলিশের সামনেই হয়েছে। পোলিং স্টেশনের অনেক দূরে আমরা ছিলাম। আমি প্রাক্তন সাংসদ হিসাবে এসেছিলাম এখানে। মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিতে পারে তাই এসেছিলাম।’