• শিক্ষিকার মৃত্যু ঘিরে অবরোধ, বিক্ষোভ
    আনন্দবাজার | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সমাজমাধ্যমে একাধিক অভিযোগ করার পরে আত্মহত্যা করেছিলেন এক শিক্ষিকা। বৃহস্পতিবার রাতের সেই ঘটনায় কেন এখনও কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না, এই প্রশ্নে সরব হয়েছেন মৃতা জসবির কৌরের আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। শনিবার সকালে ঘণ্টাখানেক বি টি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। বরাহনগর ও দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিশ গিয়ে যথাযথ পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ডানলপ খালসা মডেল স্কুলে বহু বছর পড়িয়েছেন জসবির। আরও দু’বছর তাঁর চাকরি ছিল। কিন্তু শিক্ষকতার প্রশিক্ষণের শংসাপত্র জমা দিতে তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ হুমকি দিয়ে তাঁকে মানসিক চাপ দিচ্ছিলেন বলেও জসবির অভিযোগ করেন। সমাজমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, অপমান সহ্য করতে না পেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ দিন জসবিরের সহকর্মী, প্রতিবেশী ও পরিজনেরা হুঁশিয়ারি দেন, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষিকার দেহ সৎকার করা হবে না। স্থানীয় পিস হেভ্নে দেহটি রাখা হয়েছে।

    এ দিন অবরোধে শামিল হয়ে ওই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকা সীমা দাশগুপ্তের অভিযোগ, ‘‘শুধু জসবির নন, স্কুল কর্তৃপক্ষের হুমকি-প্রথার শিকার আমরা প্রায় সকলেই।’’ বছর তিনেক আগে ডানলপের ওই স্কুলে নতুন অধ্যক্ষ যোগ দিয়েছেন। তিনি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের উপরে মানসিক অত্যাচার শুরু করেন বলে অভিযোগ। জসবিরের ভাই জসবিন্দর সিংহ এ দিন বলেন, ‘‘অধ্যক্ষ-সহ যাঁরা মানসিক অত্যাচার চালিয়েছেন, তাঁদের নাম ফেসবুক লাইভে দিদি বলেছে। এর থেকে বড় প্রমাণ কী হতে পারে?’’ তিনি বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’’ অভিযুক্ত অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

    পুলিশ সূত্রের খবর, জসবিরের অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই শিক্ষিকা যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন, তাঁদের খোঁজ চলছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

  • Link to this news (আনন্দবাজার)