ওই স্টলে বিক্রি হচ্ছিল ঢাকাই জামদানি, মসলিন, রাজশাহী সিল্ক,তাঁত-সহ বিভিন্ন ধরনের শাড়ি। শনিবার সন্ধেয় মেলায় আসা মানুষজনের নজরে পড়তেই হইচৈই পড়ে যায় মেলায়। তারপরেই তড়িঘড়ি সেই ব্যানার নামান দোকানদাররা। এই নিয়েই শুরু হয় নানান বিতর্ক।
এদিকে এই বিতর্ক উস্কে দিয়ে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘরুই বলেন,"তৃণমূল পরিচালিত দুর্গাপুর উৎসব মেলা কমিটির মদত ছাড়া এই কাজ কেউ করতে পারে না। রাজ্যের মন্ত্রীদের বলব অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। না হলে বিজেপি ওই দোকানে গিয়ে ভাঙচুর চালাবে। প্রতিবাদ করবে।"
ব্যবসায়ী শ্যামসুর রহমানের দাবি," আমাদের পূর্বস্থলীতে বাড়ি। আধার কার্ড,প্যান কার্ড সবই আছে। দু পয়সা রোজকারের জন্য মেলায় আসি। মালিকের কথামতোই বাংলাদেশের পতাকা দেওয়া ব্যানার লাগিয়েছিলাম। এখানকার মানুষজন বলতেই সেটা আমরা খুলে দিয়েছি।"
এত ভালো একটা দুর্গাপুর উৎসব চলছে সেখানে বিরোধীরা চক্রান্ত করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা লাগিয়ে দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করছে বলে পাল্টা দাবি পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়। যদিও মেলা কমিটির সদস্য প্রবীর ঘোষাল বলেন,"প্রচারের জন্য হয়তো ব্যানার লাগিয়েছিল। আদতে ওরা কেউই বাংলাদেশের নাগরিক নন।"