ট্যাব জালিয়াতির ‘হটস্পট’ উত্তর দিনাজপুর থেকে ধৃত আরও ১, বন্ধ প্রধান শিক্ষকের সাইবার ক্যাফে
প্রতিদিন | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ট্যাব জালিয়াতির ‘হটস্পট’ উত্তর দিনাজপুর। আগেও এই জেলা থেকে একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এবার এক সরকারি হাই স্কুলের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করল কলকাতা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ। পাশাপাশি আরেক স্কুলের প্রধান শিক্ষকও তদন্তকারীদের স্ক্যানারে। ইতিমধ্যে তাঁর সাইবার ক্যাফেটি বন্ধ করেও দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম দারাজুল ইসলাম। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার মাঝিয়ালি হাই স্কুলের শিক্ষক। ধৃতকে প্রাথমিক জেরা করে ট্যাবের টাকা ভুয়ো পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরে সরানোর অভিযোগে সীমান্তবর্তী ওই হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক মুমতাজুল ইসলাম ওরফে জুয়েলের নাম উঠে আসে। তবে সেই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের কিনারা করতে না পারলেও মাঝিয়ালি এলাকায় ওই শিক্ষকের সিএসপির ভাড়া ঘর সিল করে দেয় কলকাতার তদন্তকারী গোয়েন্দা পুলিশ এদিন রাতে।
ট্যাব দুর্নীতির ঘটনায় জড়িত চোপড়ার একের পর এক অভিযুক্তরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের তদন্তকারী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হতেই মাঝিয়ালি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গা ঢাকা দিয়েছেন। সেইসঙ্গে ট্যাবে অভিযোগ লক্ষ্মীপুর হাই স্কুলের করণিক বাবুল হোসেন ওরফে বাবরও এলাকাছাড়া। বাবরের ঘির্নিগাঁও পঞ্চায়েত কোর্টগজ হাই স্কুল সংলগ্ন ডাঙ্গীপাড়ার বাড়িতেও অভিযান চালায় কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশ।ইসলামপুর পুলিশ সুপার জবি থমাস বলেন,” চোপড়ার পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালানো হয়।” এনিয়ে ট্যাবের জালে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ও ইসলামপুর থেকে ২৬ জনকে পাকড়াও করল পুলিশ।
পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে যে টাকা পাওয়ার কথা সেই অর্থ তছরূপের ঘটনায় জেলা এবং কলকাতা পুলিশের তরফে সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। গ্রেপ্তারও হয়েছে বেশ কয়েকজন। বেশিরভাগই উত্তরবঙ্গের। সেখান থেকেই এই জালিয়াতির সূত্রপাত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। যেভাবে অ্যাকাউন্ট জালিয়াত হয়েছে, তাতে জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে মিল রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। এবার সেই জামতাড়া গ্যাংয়ের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, জালিয়াতি রুখতে বিশেষ মেকানিজমের সাহায্যে নয়া আইন আনার পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের।