স্থানীয় সূত্রে খবর, জখম যুবকের নাম আব্দুর রহমান। অভিযুক্তের নাম সোমাইয়া খাতুন। আব্দুর এবং সোমাইয়ার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। দুই বাড়িই সম্পর্কের কথা জানত। কিন্তু সম্প্রতি দু’জনের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। তার মধ্যেই শনিবারের ওই ঘটনা। জানা যাচ্ছে, শনিবার রাতে প্রেমিককে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান ওই তরুণী। সেই মতো হাজিরও হন আব্দুর। দু’জনে বেশ কিছু ক্ষণ কথাবার্তা বলেন। গল্প করতে করতে আব্দুরকে বাড়ির কাছে বাগানে নিয়ে যান সোমাইয়া। সেখানে একটি গাছে প্রেমিকের হাত-পা বাঁধেন। চোখও বেঁধে দেন। তার পর ধারালো অস্ত্র বার করে প্রেমিকের যৌনাঙ্গে কোপ বসান তরুণী।
যুবকের চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন জড়ো হন। রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে দেখে চমকে যান তাঁরা। অন্য দিকে, তরুণী স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনিই কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা সোমাইয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সোমাইয়া জানিয়েছেন, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন প্রেমিক। তাই তাঁকে জব্দ করতে এই কাণ্ড করেছেন। যদিও কী নিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছিল তাঁকে, তা বিস্তারিত ভাবে জানা যায়নি। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসিপি (দক্ষিণ) সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘হাওড়ার ডোমজুড় থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ পাওয়ার পরই ডোমজুড় থানার পুলিশ আধিকারিকেরা তদন্ত শুরু করেছেন। চিকিৎসার জন্য ওই যুবককে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাঁর প্রেমিকাকে পুলিশ গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, প্রেমিক প্রেমিকাকে ব্ল্যাকমেল করতেন। কিন্তু কী কারণে ব্ল্যাকমেল করতেন তা জানতে তদন্ত চলছে।’’