তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ও তার আশপাশের এলাকাকে ট্যাব জালিয়াতি চক্রের ‘আঁতুড়ঘর’ বলে দাবি করেছিলেন লালবাজারের তদন্তকারীরা। পরে চোপড়া থেকে ট্যাব-কাণ্ডে গ্রেফতারও হয়েছিলেন বেশ কয়েক জন। পুলিশ সূত্রে খবর, মাঝিয়ালি হাই স্কুলের শিক্ষক দারাজ ট্যাব-কাণ্ডে জড়িত বলে সম্প্রতিই জানতে পেরেছে লালবাজার। এর পর খোঁজখবর করে তারা মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁচাকালি বাজার এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে হানা দেয়। ওই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হন দারাজ।
ধৃতের বাড়ির উল্টো দিকে একটি সাইবার ক্যাফে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে ওই সাইবার ক্যাফেতেও হানা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে বেশ কিছু নথি এবং হার্ডডিস্ক মিলেছে।
পুলিশ সূত্রে দাবি, শুধু দারাজই নন, মাঝিয়ালি হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক মমতাজুল ইসলাম ওরফে জুয়েলও ট্যাব জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত। ট্যাব-কাণ্ডে ধরপাকড় শুরু হওয়ার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। কয়েক দিনের জন্য থেকেছিলেন দারাজের ভাড়াবাড়িতেও। ওই প্রধানশিক্ষক জালিয়াতি চক্রের অন্যতম ‘চক্রী’ বলে মনে করছেন তদন্তকারীদের একাংশ।