স্কুল সূত্রে খবর, ২০১০ সালে চালু হয়েছিল স্কুলটি। তখন তিন জন স্থায়ী এবং দু’জন অতিথি শিক্ষক ছিলেন স্কুলে। কয়েক বছর আগে ওই তিন জন স্থায়ী শিক্ষক বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এক জন অতিথি শিক্ষক অবসর নিয়েছেন। ফলে আর এক জন অতিথি শিক্ষককে একাই স্কুল চালাতে হচ্ছে। বর্তমানে স্কুলে চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। শিক্ষকের অভাব থাকায় বাধ্য হয়ে ক্লাসে পাহারায় থাকতে হচ্ছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। তাঁরাই আবার স্কুলে মিড ডে মিলের রান্না করেন।
স্কুলের একমাত্র শিক্ষক বদরুল ইসলাম বলেন, ‘‘স্কুলে ৭৫ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। কিন্তু আমি ছাড়া আর কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা নেই। ন’মাস ধরে একাই স্কুল চালাচ্ছি। ক্লাস নেওয়া, পরীক্ষার খাতা দেখা সব আমাকেই করতে হয়।’’
স্কুলের রাঁধুনি তথা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা রেকসোনা বিবি বলেন, ‘‘আমাদের গোষ্ঠীর মহিলারা স্কুলে রান্না করে। আজ মাস্টারমশাই বললেন পরীক্ষার ঘরে গার্ড দিতে। উনি তো নিরুপায়। তাই একটু সাহায্য করলাম।’’