বিমানের মতো তিন ঘণ্টা বা তার থেকে বেশি দেরিতে ট্রেন চললে ওই সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। তাঁদের খাবার এবং পানীয় জলের বন্দোবস্ত করবে রেল। রেলের নিয়ম বলছে, ট্রেন দেরিতে চললেও যাত্রীদের খাবার দেওয়া হবে। এর জন্য একটি টাকাও খরচ করতে হবে না যাত্রীদের। তবে সব ট্রেন বা এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা প্রযোজ্য নয়। ওই সব সুবিধা মিলবে রাজধানী, শতাব্দী এবং দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম দূরপাল্লার ট্রেনে। দিনের কোন সময় ট্রেন দেরিতে চলছে তার উপর খাবারের তালিকা তৈরি হবে। সেখানে পছন্দের খাবারও মিলতে পারে। আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে বা ১৩২৩ নম্বরে ফোন করে খাবার অর্ডার করতে পারবেন যাত্রীরা।
রেল বলছে, কোনও কারণে ওই সব ট্রেনে সুবিধা পাওয়া না গেলে অভিযোগ জানানো যাবে। এর জন্য নির্দিষ্ট হেল্পলাইন লাইন বা ইমেইল আইডিতে অসুবিধা জানিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন যাত্রীরা। দূরপাল্লার অন্য ট্রেনে নিখরচায় খাবার না মিললেও বিকল্প বন্দোবস্ত করে রেখেছে রেল। তারা জানিয়েছে, দূরপাল্লার ট্রেন থামবে এমন স্টেশনে খাবার দোকান গভীর রাত পর্যন্ত খোলা রাখতে হবে। যাতে ট্রেন দেরি হলেও যাত্রীদের খাওয়াদাওয়ার অসুবিধা না হয়। তবে এ ক্ষেত্রে টাকা দিয়ে খাবার কিনতে হবে।