শুধু যৌনতা, নেই ভালবাসা, প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে স্বীকারোক্তি প্রেমিকার
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
শুধু যৌনতা ছিল, কোনও ভালবাসা ছিল না। তাই নিজের কাজের কোনও অনুশোচনা নেই। এমনটাই জানালেন প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে গ্রেপ্তার হওয়া হাওড়ার ডোমজুড়ের তরুণী। বরং পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানালেন, কীভাবে প্রেমিককে ‘শাস্তি’ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। কী ভাবে ‘আদর’ করে কাছে ডেকে ছুরির কোপ বসান প্রেমিকের যৌনাঙ্গে।
হাওড়ার আব্দুর রহমান এবং সোমাইয়া খাতুনের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। দুই বাড়িই তাঁদের সম্পর্কের কথা জানত। কিন্তু সম্প্রতি নাকি আব্দুর এবং সোমাইয়ার বনিবনা হচ্ছিল না। তার মধ্যে শনিবার রাতে প্রেমিককে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান সোমাইয়া। যথা সময়ে প্রেমিকার বাড়িতে হাজির হন আব্দুর। দু’জনে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলার পর প্রেমিককে বাড়ির কাছে বাগানে নিয়ে যান প্রেমিকা। সেখানে আদরের ছলে একটি গাছে আব্দুরের হাত-পা বেঁধে দেন। চোখও বেঁধে দেন। তার পর ধারালো অস্ত্র বার করে তাঁর যৌনাঙ্গে কোপ বসান। প্রেমিকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হন। রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে দেখে চমকে যান তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা সোমাইয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমাইয়া জানিয়েছেন, ২০১৮ সাল থেকে আব্দুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা। তবে সম্প্রতি সম্পর্কে চিড় ধরেছিল সেই সম্পর্কে। কারণ কী? তরুণীর দাবি, আব্দুর তাঁকে ভালবাসেননি। বিয়েও করতে চাননি। শুধু ‘ভোগ করতে চেয়েছিলেন’। বাধা দেওয়ায় শুরু হয়েছিল ব্ল্যাকমেল। তাঁদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের বেশ কিছু ছবি তুলে সেগুলো ‘ফাঁস’ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হতেন। প্রেমিক তাঁকে বিয়ে করবেন না জেনেও তিনি তাঁকে ছাড়তে পারেননি। কিন্তু একটা সময় পর প্রেমিককে শাস্তি দেওয়ার কথা তার মাথায় আসে। অনলাইনে ছুরির অর্ডার দিয়ে তিনি তাঁর প্রেমিককে শাস্তি দিয়েছেন। ধৃত তরুণীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা শুরু হয়েছে।