শান্তনু বলেন, 'নেত্রী এবং আমার দল, আমার নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন যা দায়িত্ব দেবেন, যা কাজ করতে বলবেন আমি সেটাই করব। তৃণমূলের একজন সৈনিক হিসেবে তৃণমূলের একজন সৈনিক হিসেবে আমি তৃণমূলের হয়ে লড়াই করে যাব'। তাঁর কথায়, 'শান্তনু সেন প্রথম দিন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করেছে। শান্তনু সেন তৃণমূল কংগ্রেস করতে গিয়ে প্রচুর মার খেয়েছে। শান্তনু সেন বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাঁচিলের উপর দু'দিকে পা ঝুলিয়ে বসে থাকেনি। শান্তনু সেন কখনও ব্ল্যাকমেইল করে লোকসভা বা বিধানসভার টিকিট পাওয়ার চেষ্টা করেনি। শান্তনু সেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে আস্থা রেখে, তৃণমূল কংগ্রেসকে বুকে আগলে রেখে, পতাকা হাতে নিয়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে'।
ঘটনাটি ঠিক কী? আরজি কাণ্ড তখন উত্তাল গোটা রাজ্য। একে পর এক মন্তব্যে দলের বিড়ম্বনা বাড়িয়েছিলেন শান্তনু। এরপর তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে বাদ পড়েন তিনি। শাসকদলের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, 'সংবাদমাধ্যমে শান্তনু সেনের বক্তব্য দলের নয়'। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদের নিরাপত্তাও প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাজ্য সরকার। এমনকী, রাজ্য মেডিক্য়াল কাউন্সিল থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
শান্তনু বলেন, 'আর পাঁচজন সুবিধাবাদী, যাঁরা নির্বাচনের আগে পাঁচিলের উপর ওঠে যায় বা অন্যদলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আবার ফেরত আসে। বা দলকে ব্ল্যাকমেইল করে, বাড়ির আশেপাশটা বিজেপির পতাকা দিয়ে মুড়ে দিয়ে,তৃণমূলের টিকিটে বিধানসভার প্রার্থী হয়। শান্তনু সেন সেই দলের পড়ে না। শান্তনু সেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে আদর্শে অনুপ্রাণিত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে বিশ্বাসী একজন অনুগত তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক আছে আগামী দিনেও থাকবে'।