সন্ধ্যার পর কেন বিডিও অফিস থেকে ব্যালট পেপার, ভোটার কার্ড, পুরোনো কাগজপত্র বের করা হচ্ছে, প্রশ্ন তুলে টেন্ডারের গাড়ি আটকাল বিজেপি। হুগলির পোলবার ঘটনা। অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় পোলবা-দাদপুর বিডিও অফিস থেকে পুরোনো কাগজপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিজেপির দাবি, যাঁরা নিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁরা টেন্ডারের কাগজও দেখিয়েছেন। কিন্তু কোনও সরকারি আধিকারিক সেখানে ছিলেন না। কী ভাবে বিডিও অফিস থেকে টেন্ডার পাওয়া সংস্থা নিজেদের মতো করে এই কাজ করতে পারে? পাল্টা পোলবা-দাদপুরের বিডিও-এর বক্তব্য, তিনি নিজেই শনিবার রাত অবধি অফিসে ছিলেন। সুতরাং সবটাই নিয়ম মেনে হয়েছে।
পোলবা দাদপুর পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা বিজেপির অর্ঘ্য চক্রবর্তীর অভিযোগ, সরকারি অফিস থেকে এ ভাবে অন্ধকারে কাগজপত্র বের করার কোনও নিয়মই নেই। অথচ খবর এল, বিডিও অফিস থেকে কাগজ বেরোচ্ছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, ভোটার কার্ড থেকে ব্যালট পেপার, রূপশ্রী, বার্ধক্য ভাতার কাগজপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাই আটকানো হয়।
পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তানসেন মণ্ডলের দাবি, বিডিও অফিসের ভিতরে একটি গোডাউনের কাজ হবে। সেখানে যে সমস্ত পুরোনো কাগজপত্র পড়ে ছিল, তা সরকারি নিয়ম মেনে ওপেন টেন্ডার ডেকে বিক্রি করা হয়।
কিন্তু সন্ধ্যার পর কেন সেই সব কাগজপত্র তোলা হচ্ছিল? চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের বক্তব্য, পঞ্চায়েতে টেন্ডার ডেকে সবটা হয়েছে। যাঁরা টেন্ডার পেয়েছেন, তাঁদের জিনিসপত্র গাড়িতে তুলতে বিকাল গড়িয়ে যায়। বিধায়কের বক্তব্য, ‘বিজেপির নাই কাজ তো খই ভাজ। ওদের তো মানুষের জন্য কিছু করতে হয় না। দায়বদ্ধতা নেই। তাই শয়তানি, বজ্জাতি করছে।’
জানা গিয়েছে, গত মাসের ১২ তারিখ মিটিং হয়। সেখানেই টেন্ডারের বিষয়টি ঠিক হয়। এর পর ওপেন টেন্ডার ডাকা হয়। বিজেপির অর্ঘ্য চক্রবর্তীর দাবি, টেন্ডারের কাগজপত্র দেখানো হয়েছিল। কিন্তু কেন কর্তৃপক্ষের কেউ থাকবে না? তাঁর কথায়, ‘একটা অফিশিয়াল কাজ আনঅফিশিয়ালি হচ্ছে। টেন্ডার অফিশিয়াল হলে কাজটাও তো দিনের আলোয় কাজের দিনই হওয়া উচিত। রাতের অন্ধকারে এ ভাবে বিডিও অফিস থেকে কাগজ বেরোচ্ছে, এটা তো নিয়মের মধ্যে পড়ে না।’ পোলবা দাদপুর-এর বিডিও জগদীশপ্রসাদ বারুইয়ের বক্তব্য, অনেক কাগজ। তাই তা বের করে গোছগাছ করতে সময় লাগে। তিনি নিজেও অনেক রাত অবধি অফিসে ছিলেন। তার পরই জানতে পারেন কিছু লোক গাড়ি আটকেছে।