রবিবার তমলুকের ‘এগ্রিকালচার সোসাইটি’র নির্বাচন ছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। সেই ভোটকে কেন্দ্র করে রবিবার বেলার দিকে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের কাঞ্চননগর গ্রাম। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সামনেই চলে বোমাবাজি। গুলিও চলে। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা (নন্দীগ্রামেরই বিধায়ক) শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। পুলিশের সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তার জেরে বেশ কিছু সময়ের জন্য স্থগিত হয়ে যায় ভোটগ্রহণ।
পরে পুলিশ পরিস্থিতি খানিক নিয়ন্ত্রণ করে বোমাবাজি কিছুটা থামাতে সক্ষম হলেও বহু ভোটার আর বুথমুখো হতে পারেননি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘শনিবার থেকেই বুথ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। ১০০ মিটারের বাইরে ক্যাম্প করার কথা বলা হয়েছিল। অথচ সেখানে রীতিমতো প্রহসন চালিয়েছে তৃণমূল। পুলিশের সামনেই ব্যাপক বোমাবাজি করেছে ওরা। আমাদের এক নেতার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার জেরে আমি নিজেও আমার ভোটটা দিতে পারিনি। নন্দীগ্রামের ভোটারদের উপর তৃণমূলের আস্থা নেই বলেই এমন বোমাবাজি করছে।’’
পাল্টা জেলার এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘গন্ডগোল বিজেপি করেছে। আমাদের মনোনীত প্রার্থীদের মানুষ ভোট দেবে বুঝতে পেরে অশান্তি করেছে ওরা। অনেকে ভোট দিতে পারেননি। মানুষই এর জবাব দেবে।’’