• দাঁতনে প্রায় এক দশক বাদে হাল ফিরতে চলেছে রাস্তার, বরাদ্দ ১৪ কোটি
    বর্তমান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বেলদা: প্রতীক্ষার অবসান। ধনেশ্বরপুর থেকে মোহনপুর পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার বেহাল রাস্তার মধ্যে দাঁতন ২ ব্লকের ১৫ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ হল ১৪ কোটি টাকা। বাকি ৯ কিলোমিটার রাস্তা অধিগ্রহণ করতে চলেছে রাজ্য পূর্তদপ্তর। সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত রাস্তাটির সারাই শুরু হবে বলে দাবি জেলা প্রশাসনের।


    জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, দাঁতন বিধানসভার অন্তর্গত ধনেশ্বরপুর থেকে মোহনপুর পর্যন্ত প্রায় ২৪ কিলোমিটার বেহাল রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রাথমিকভাবে জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১ কোটি টাকা। কিন্তু এই রাস্তা সংস্কারের জন্য ঠিকাদাররা আগ্রহী হচ্ছিল না বলে দাবি জেলা প্রশাসনের। ঠিকাদারদের বক্তব্য ছিল, রাস্তার যা হাল, তাতে এই টাকায় সংস্কার সম্ভব নয়। এদিকে রাস্তার এই দশায় দিন দিন সমস্যা বাড়ছিল মানুষের। বর্ষার সময় থেকে খানাখন্দে ভরে গিয়েছে রাস্তাটি। রাস্তা সংস্কারের দাবি তুলে এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ প্রশাসনের সমস্ত স্তরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এলাকার মানুষ। লোকসভা নির্বাচনের সময়ে প্রচারে এসে এই রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে এই রাস্তার বেশিরভাগ অংশ সারাইয়ের জন্য রাজ্য উন্নয়ন পর্ষদ থেকে বরাদ্দ করা হল ১৪ কোটি টাকা। দাঁতন ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ইফতেখার আলি বলেন, দীর্ঘ প্রায় এক দশক ধরে এই রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি ইট ফেলে কিছুটা অংশ সংস্কার করলেও এত বড় রাস্তা সংস্কার করতে অনেক টাকার প্রয়োজন ছিল। অবশেষে রাজ্য তা বরাদ্দ করায় এই সমস্যা মিটতে চলেছে।


    জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, এই রাস্তা সংস্কারের জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও কোনও এজেন্সি টেন্ডারে অংশ নেয়নি। তাই সংস্কার আটকে ছিল। বর্তমানে রাজ্য থেকে এই রাস্তার ২৪ কিলোমিটারের মধ্যে ১৫ কিলোমিটার সংস্কারের জন্য ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে নতুন করে এই রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে।


    দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান বলেন, মোহনপুর ব্লকের অধীন মোহনপুর থেকে জেনকাপুর পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার রাস্তা পূর্তদপ্তরকে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণ। আমি বিধানসভায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। আশা রাখছি ওই অংশের কাজও একই সঙ্গে শুরু হয়ে যাবে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)