পেট্রল পাম্পের বেআইনি গার্ডওয়াল ভাঙার দাবিতে পথ অবরোধ দাসপুরে
বর্তমান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, ঘাটাল: পথ অবরোধ করার দু’ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনের উদ্যোগে সমস্যার সমাধান হল। অবরোধের ফল হাতেনাতে মেলায় খুশি আন্দোলনকারীরা। দাসপুর থানার কলাইকুণ্ডতে গ্রামীণ রাস্তা অবরুদ্ধ করে পেট্রল পাম্পের একাংশ তৈরি হচ্ছিল। তার প্রতিবাদেই রবিবার সকালে সুলতাননগর-গোপীগঞ্জ রাস্তার দাসপুর থানার জটাধরপুরে অবরোধ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। অনড় গ্রামবাসীদের দাবি মেনে নিয়েই পুলিস প্রশাসনের উপস্থিতিতে সেই নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হল। পুলিসের ভূমিকায় খুশি গ্রামবাসীরা। পুলিস জানিয়েছে, গ্রামবাসীদের দাবিটি সঙ্গত ছিল। সেজন্য পাম্পের মালিককে নির্মাণটি ভেঙে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ওই রাস্তার পাশেই চাঁইপাটের জগবন্ধু সাউ নামে এক ব্যবসায়ী একটি পেট্রল পাম্প তৈরি করছেন। তাঁরই পেট্রল পাম্পের একটি গার্ডওয়াল তৈরি নিয়ে কয়েক দিন ধরে এলাকায় অসন্তোষ বাড়ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জটাধরপুর বাসস্টপ থেকেই একটি ঢালাই রাস্তা কিশোরনগর হয়ে টালিভাটা পর্যন্ত গিয়েছে। ওই রাস্তাটি বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ব্যবহার করেন। কিশোরনগর, জটাধরপুরের বাসিন্দাদের মধ্যে সুদীপ ঘাঁটা, বলরাম পাত্র, রাজেশ মাজি, সন্দীপ মাজি প্রমুখের অভিযোগ, ওই রাস্তার মুখেই পাম্পের মালিক কয়েকদিন থেকে একটি গার্ডওয়াল তৈরি করতে শুরু করেছেন। ফলে রাস্তার মুখ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীদের যাতায়াতের তীব্র সমস্যা হচ্ছে। গ্রামবাসীরা বার বার পাম্প মালিককে ওই গার্ডওয়াল তৈরির বিষয়ে আপত্তি করেছিলেন। কিন্তু তিনি সেই আপত্তি শোনেননি বলে অভিযোগ। অবিলম্বে গার্ডওয়াল সরানোর দাবিতেই এদিন তাঁরা পথ অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন। রাস্তার উপর গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু হয়। ফলে ওই ব্যস্ততম রাস্তার বহু গাড়ি দু’দিকে দাঁড়িয়ে যায়।
এদিন গ্রামবাসীদের সঙ্গে পথ অবরোধ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন পাঁচবেড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য নাজমা বিবিও। তিনি বলেন, ‘এভাবে রাস্তা অবরুদ্ধ করে গার্ডওয়াল তৈরির বিষয়টি আমাদেরও ভালো লাগেনি। সেজন্য আমাদেরও এনিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল।’
এদিন প্রায় আধ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি চলার পর ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছয়। পুলিস সব শুনে পাম্প মালিককে দু’ঘণ্টার মধ্যে ওই গার্ডওয়ালটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়।
পাম্প মালিক বলেন, ‘আমি রাস্তার উপর কোনও নির্মাণ করিনি। যা করেছি রায়ত জায়গার উপর। কিন্তু সাধারণ মানুষ যেহেতু ওটা চাইছেন না, তাই ভেঙে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ - নিজস্ব চিত্র